পর্ব-১
টেকনাফ প্রতিনিধি,
টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের নিকট অভিযোগ পাঠিয়েছেন বি,সি,আই,সি ডিলারগণ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে কর্মরত কৃষি কর্মকর্তা ডঃ ভব সিন্ধু রায় টেকনাফ কৃষি অফিসে যোগদান করার পর সরকারি ভাবে নিয়োগকৃত ১০ জন বি,সি, আই,সি ডিলারদেরকে উপেক্ষা করে
সরকারি নিয়ম নীতি বহির্ভূত ভাবে আর্থিক লাভবানের উদ্দেশ্যে ৮৮ জন খুচরা ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানান।
উপরোক্ত ডিলারগন সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে কৃষকদের নিকট দুই গুন মূল্য বেশি নিয়ে সার বিক্রি করছে। যার ফলে কৃষক বান্ধব বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। এছাড়া একাধিক নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বীজ ও কীট নাশক ঔষধ বিক্রি করার জন্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বি,সি,আই,সি ডিলারগন। বীজ ও কীটনাশক বিক্রেতাগন শুধু মাত্র বীজ ও কীটনাশক ঔষধ বিক্রির অনুমতি থাকলেও কিন্তু তারা অহরহ ইউরিয়া সার হতে আরম্ভ করে বিভিন্ন সার বিক্রি করে যাচ্ছে। ফলে বি,সি,আই,সি ডিলারগন প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তারা জানান।
টেকনাফ উপজেলা ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন এর সভাপতি জালাল উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ গত-২৯-০৮-২০২১ ইং তারিখ টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডঃ ভব সিন্ধু রায়, উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ হাসান, শেখ জামাল, শফিউল আলম ও মোস্তাক আহমদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দূর্নীতি ও সার নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে সার ডিলারদের নিয়োগ, সরকারি রাজস্বের টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহীর কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডঃ ভব সিন্ধু রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি যোগদান করার পর হতে কোন ধরনের অনিয়ম, দূর্নীতি, হয়নি এবং হচ্ছে না। করোনার কারনে উপজেলা সার মনিটরিং কমিটির সভা বন্ধ ছিল।
এদিকে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম মাঠে না গিয়ে অফিসে বসে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও ডিলারদেরকে হয়রানী, কীটনাশক, বীজ বিক্রেতাদের লাইসেন্স দিয়ে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, সে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে এড়িয়ে যান।
চলবে….
Leave a Reply