সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দ্যা টেরিটরিয়াল নিউজের (টিটিএন) প্রধান প্রতিবেদক সাংবাদিক আজিম নিহাদ ও ভিডিও জার্নালাস্টি লোকমান হাকিমকে চরম হেনস্থা করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সহকারি পুলিশ সুপার, এসআই সজিব ও কনস্টেবল মতিন। রবিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকরা। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ টেকনাফ উপজেলা শাখা।
এক বিবৃতিতে বিএমএসএফ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শেখ রাসেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরাফাত সানি বলেন, আজিম নিহাদ একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তার অনুসন্ধানী রিপোর্ট জনমনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন থেকে লিখিত অনুমতি পত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ভিডিও পারসনসহ তাকে চরমভাবে হেনস্থা করেন এপিবিএন -১৪ এর সহকারি পুলিশ সুপার, এসআই সজিব ও কনস্টেবল মতিন। যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকী স্বরূপ। তাই অবিলম্বে সাংবাদিক আজিম নিহাদসহ তার ক্যামরা পারসনকে হেনস্থাকারী এপিবিএন—১৪ এর পুলিশ সদস্যদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সংবাদ বর্জনসহ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ সহ সাংবাদিক সমাজ নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
উল্লেখ্যঃ একটি প্রতিবেদন করার জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন থেকে লিখিত অনুমতি পত্র নিয়ে আজিম নিহাদ ও ভিডিও জার্নালিস্ট লোকমান হাকিম গত রোববার সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সকালে তারা ক্যাম্প ৮ এবং ৯ এ কাজ করার পর দুপুরের দিকে ক্যাম্প—৪ এর মোচরা বাজার এলাকায় যায়। সেখানে বাজারের সরগরম পরিবেশের ভিডিও ধারণ করছিলেন ক্যামেরাম্যান লোকমান হাকিম। এসময় হঠাৎ এপিবিএনের কনস্টেবল মতিন লোকমানের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে আরআরআরসির অনুমতি পত্র দেখালেও আজিম নিহাদ ও লোকমানকে গালিগালাজ করে। ওই পুলিশ সদস্যের ভাষ্য
এখানে কিসের আরআরআরসি? আপনি জানেন না ক্যাম্প এখন আমরা (এপিবিএন) নিয়ন্ত্রণ করি? আমাদের পারমিশন ছাড়া কে ঢুকতে বললো আপনাকে? তখন ওয়ারলেসে সিগন্যাল দিয়ে সজিব নামে একজন এসআইকে ডেকে আনলো চেকপোস্টে। এই রকম সাংবাদিক আমার হাত থেকে কত বের হয়েছে হিসেব নেই। ১২ বছর আগে সাংবাদিকদের পড়াইতাম আমি। তিনি বলেন, জানিস আমি চাইলে এখন তোদের রোহিঙ্গা বানিয়ে ক্যাম্পে আটকে রাখতে পারি’? তোদেরকে রোহিঙ্গা বানিয়ে এখানে ফেলে রাখা কোন ব্যাপার না। বিষয়টি অতিরিক্ত আরআরআরসি শামসুদ্দৌজা জানালে তিনি ফোনে ওই পুলিশ সদস্যকে দিতে বলেন। কিন্তু পর পর দুইবার কনস্টেবল মতিন কল কেটে দেন। পরে পুলিশ পাহারায় এএসপির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সেখানে এএসপিও তাদের নাজেহাল করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে সাংবাদিক সমাজ।
Leave a Reply