হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ডাক্তার ও রাগীদের টেবিলে এভাবে শুয়ে ছিল তিনটি কুকুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ফাঁকা। দায়িত্বরত চিকিৎসকের টেবিলে একটি ও রোগীর টেবিলে দুটি কুকুর শুয়ে আছে। এমন দৃশ্য আজ রবিবার সকাল থেকে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ছবিটি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের।
গত শুক্রবার গভীর রাতে ছবিটি মোবাইলে ধারণ করেন একজন রোগীর অভিভাবক। এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্রই। ঘটনাটির সঠিক তদন্তের দাবি করেছে সুধীসমাজ।
ছবিটি তুলেছেন উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের বিলরাউল গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন। তিনি আজ রবিবার বিকেলে জানান, গত শুক্রবার দুপুরে তার ভাইয়ের ছেলে ইমনের অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। পরে তিনি বাড়িতে চলে যান। রাত ১০টার দিকে ফের তিনি হাসপাতালে আসেন।
তিনি আরো জানান, এক পর্যায়ে রাত ১টার দিকে ভাতিজা ইমনের শরীর খারাপ দেখা দিলে দুই তলা থেকে নিচে নেমে জরুরি বিভাগে যান চিকিৎসকের খোঁজে। এ সময় তিনি দেখতে পান জরুরি বিভাগের বেশ কয়েকটি বাতি জ্বলজ্বল করলেও কর্তব্যরত কারো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে দেখতে পান তিনটি কুকুর দুটি টেবিলে শুয়ে আছে। ওই সময় তিনি নিজের মোবাইল থেকে ছবি তোলেন। এক দিন পর আজ রবিবার তিনি তার আইডিতে ছবিটি পোস্ট করেন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরের জন্য। এর কিছুক্ষণ পরই ছবিটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এ কে এম ফরিদ উল্লাহ বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে আগামী সভায় উপস্থাপন করা হবে।’
জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লোপা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জরুরি বিভাগের দায়িত্ব আরএমওর (আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার) ওপর ন্যস্ত। তাকেই জিজ্ঞেস করেন। তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তার পরও আমার মনে হয় এই ছবি অনেক আগের হতে পারে। একটি চক্র এই ছবি পোস্ট করে বর্তমান অবস্থাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। এর পরও বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে।’
বিষয়টি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো নতুন যোগ দিয়েছি, আগের বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।###
Leave a Reply