হ্নীলা সংবাদ দাতা
কক্সবাজার টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন পুলিশ কর্তৃক হ্নীলা টমটম শ্রমিকদের প্রতিনিয়ত হয়রানি বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় টমটম শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার (১১এপ্রিল) বিকালে দক্ষিণ হ্নীলা টমটম ও মিনিটম শ্রমিক সমবায় সমিতি লিঃ ( রেজিঃ নং ২৪৭০) এর নিজ কার্যালয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা ১৬ এপিবিএনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন আমাদের শ্রমিকেরা তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে গাড়ি নিয়ে বের হলে জাদিমুড়া এলাকা থেকে ১৬ এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা আমাদের থামিয়ে রাতে তাদের ডিউটির জন্য গাড়ি সহ নিয়ে যায়। পরের দিন রাতে ডিউটি শেষে সকালে একটি টুকেন হাতে ধরিয়ে দিয়ে বিনা বেতনে বা ভাড়ায় ছেড়ে দেন। এর ফলে আমরা ওই দিন রাত, পরের দিন ও রাত ( অর্থাৎ একদিন ও দু রাত) ভাড়া চলাতে পারিনা। বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি রাতে ডিউটির সময় বিদ্যুৎ ফুরিয়ে গেলে তা মজুদ করতে একদিন সময় লাগে। শুধু তাই নয় আমরা তাদের সাথে ডিউটি করতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাদেরকে মারধর করে। আমাদের কয়েকজন শ্রমিক ভাই তাদের মারধরের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়েছে এরকম প্রমাণও আমাদের কাছে রয়েছে ।
তারা আরো বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরে অসংখ্য রোহিঙ্গা টমটম চালাচ্ছে অথচ তাদের গাড়ি কে ডিউটির জন্য রাখা হচ্ছে না। আমরা স্থানীয় হয়েও আমাদেরকে অহেতুক হয়রানি করে তারা । ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা আসার পরে আমরা নাফ নদীতে যেতে পারি না, পাহাড়েও যেতে পারছি না অপহরণ ও গুমের ভয়ে। সে জন্য কোনমতে সংসার চালাতে এই পেশায় এসেছি। এখানেও যদি আমরা প্রতিনিয়ত হয়রানি হয় তাহলে আমাদের কি করার আছে। হইতে তারা জানেন না আমরা যারা ভাড়া গাড়ি চালাই তারা যদি একদিন একরাত ভাড়া মারতে না পারলে তাহলে আমাদের মালিক কে বাড়ি থেকে এনে দৈনিক ভাড়া পরিশোধ করতে হয় । অথচ আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাচ্ছে।
তাই আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ কর্মকর্তাদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, অন্ততপক্ষে ঈদকে সামনে রেখে হলেও আমাদেরকে এ হয়রানি থেকে যেন মুক্তি দেন ১৬ এপিবিএন পুলিশ। যদি তা না হয় ভবিষ্যতে আমরা টমটম শ্রমিক এরচেয়ে কটুর কর্মসূচি দেব।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন , সভাপতি আবুল হোসাইন, সহ-সভাপতি রবিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, অর্থ সম্পাদক ওসমান সরওয়ার, সদস্য যথাক্রমে মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ রিদওয়ান ও মুহাম্মদ ইউনূস ।
Leave a Reply