নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
নারীর সাথে দেখা করার লোভ দেখিয়ে ৩ বন্ধু কে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই রোহিঙ্গা
যুবক কে আটক করেছে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ। আটকেরা হলেন, মুচনী রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের এমআরসি নং ৬৩১১৫ এর আবু তাহেরের ছেলে শফি আলম প্রকাশ বেলাল (২৮) ও একই ক্যাম্পের এমআরসি ৩১৯০১ এর আব্দু মতলবের ছেলে আরাফাত (২২)।
বৃহস্পতিবার (২৫মে) টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ আব্দুল হালিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফ বাহার ছড়া ইউনিয়নের রাজার ছড়া ফরেস্ট অফিস এলাকায় এক বাড়িতে পাত্রী দেখার লোভ দেখিয়ে কক্সবাজার থেকে টেকনাফে নিয়ে আসেন কক্সবাজার সদরের নুনিয়ারছড়া এলাকার মোঃ ইব্রহীম শেখ এর ছেলে মোহাম্মদ ইমরান সরকার (২৭), চৌফলদন্ডী এলাকার রুবেল (৪০) ও ঈদগাঁ জালালাবাদ এলাকার মোহাম্মদ ইউছুফ দের।
পাত্রীর সাথে দেখা না হলে ৩ বন্ধু বাড়ি ফেরার পথে পাহাড়ি অপহরণ কারি চক্রের সদস্যরা তাদের অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে তাদের পরিবারে কাছ থেকে মুক্তি পনের জন্য দেড় কোটি টাকা দাবি করেন। পরিবারের অপরাপর সদস্যরা দিনমজুর হওয়ায় সে দাবি কৃত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাদের হত্যা করে গহীন পাহাড়ে মাঠিতে ফুতে পেলার খবর শোনলে তাদের স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযানে নামেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার (২৪মে) সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে দমদমিয়া গহীন পাহার থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশ গুলো উদ্ধার করা হয়। যেখানে তাদের উদ্ধারে র্যাব ও পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এক সাথে কাজ করেছিল বলে জানা গেছে ।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ আব্দুল হালিম জানান, অপহরণ কারিদের পরিবারে আবেদনের ভিত্তিতে শফি আলম নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। আটক শফি গত ২৮ এপ্রিল তারিখে নিহত রুবেল কে কোহিনূর নামক একজন মেয়েকে দেখার লোভ দিয়ে তাকে ডেকে আনেন বলে স্বীকার করেন।
তিনি আরো জানান, শফির দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে শফির ভাগিনা আরাফাত কে মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে আটক করা হরে তাদের হেফাজত হতে নিহত রুবেলের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত ঘটনা নিয়ে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
Leave a Reply