টেকনাফ প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে টেকনাফে সহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন,
ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে প্রতি বছর পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে ফিরে আসে। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করাই কোরবানির প্রধান শিক্ষা। কোরবানির প্রকৃত রূপ হলো মনের গভীরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও তাকওয়া নিয়ে প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করা। আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ব্রত হওয়াই কোরবানির মর্মবাণী। তাই পশু কোরবানির পাশাপাশি মনের পশু কোরবানি দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ব্রত হওয়াই আমাদের কর্তব্য।
শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি আরো বলেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে সকল মানুষকে। ঈদ হল শান্তি সম্প্রীতির উৎসব। আগামী দিনেও দেশে এই শান্তি সম্প্রীতি বজায় থাকুক এই কামনা রইল। তিনি সবার কল্যাণ কামনা করেন।
পরিশেষে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আমি টেকনাফ উপজেলা এবং সাবরাং ইউনিয়নের জনগণ ও দেশবাসী, প্রবাসী সহ সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করছি তিনি আমাদের সবাইকে সুন্দর পরিবেশে ঈদুল আযহা উদযাপন করার ও ঈদুল আযহার শিক্ষা বাস্তব জীবনে ধারণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন। হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক। বিশ্বের সকল মানুষের সুখ-শান্তি, কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হোক-আজকের দিনে আমি মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।
পবিত্র আযহা ত্যাগের দিন। আল্লাহু তালার আদেশ পালনের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা পশু কোরবানী করে থাকেন। এ ত্যাগের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারাবাংলায়, সারাবিশ্বে। শহরবাসী শিকড়ের টানে ফিরে যান আপনজনের কাছে, মিলিত হন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। এ দিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন।
তিনি আরোও বলেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল আযহার অবিরাম ভালোবাসা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এ প্রত্যাশা করি। বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যে-পবিত্র ঈদুল আযহা এ প্রত্যাশা করি।
Leave a Reply