1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ফেসবুক-টিকটকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি গুলির সঙ্গে কোনো সংলাপ হয় না: কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ কোটা সংস্কারের পক্ষে সরকার আলোচনায় বসতে রাজি: আইনমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেছেন টেকনাফের সাবরাং হবে পর্যটক আকর্ষণ কেন্দ্রবিন্দু আজ ১০ মহররম-পবিত্র আশুরা ||টেকনাফ ৭১ জনতার হাতে আটক ডাকাত রফিককে তার সহযোগীরা যেভাবে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে উখিয়া-টেকনাফে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের ইউএনডিপি’র সামাজিক অপরাধ বিষয়ে সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন সাংবাদিকের ‘আব্বা’ দাবী করা সেই এসআইকে উখিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার টেকনাফ সমুদ্র সৈকত থেকে আহরণ করে পাচার করছে শামুক-ঝিনুক: ঘুমিয়ে আছে পরিবেশ অধিদপ্তর ফাইনালে রাতে মুখোমুখি ইংল্যান্ড-স্পেন

মাদক নির্মূলে দরকার সেনা অভিযান দরকার 

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৬৯৭ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি।

কক্সবাজারের মাদক তথা টেকনাফ- উখিয়া- রামুর ইয়াবা সাম্রাজ্য নির্মূলে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়ার দাবিটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে মাঠ পর্যায় থেকে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলে এমনকি সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায়েও কথাবার্তা চলছে, ইতিবাচক সাড়াও পড়েছে সর্বত্রই। সচেতন মহলের দাবি, সর্বনাশ ইয়াবার প্রবেশদ্বার বলে চিহ্নিত কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা তিনটি জুড়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন হোক, কয়েক মাস ধরে চলুক তাদের চিরুনি অভিযান। নেশার ভয়ঙ্কর করালগ্রাস থেকে দেশের বিরাট সংখ্যক কিশোর, তরুণ, যুবকদের রক্ষার সেই সেনা অভিযানকে “জাতীয় কর্তব্য কর্মসূচি” বলে ঘোষণা দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

কক্সবাজারের নির্যাতিত সাংবাদিক, দৈনিক কক্সবাজার বাণীর সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা মাদকের অভিশাপ থেকে বাঁচাতে সেনা অভিযান শুরুর আবেদন জানান। এরপর থেকেই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ফরিদুল মোস্তফা মাদকের অভিশাপ হিসেবে যেমন ইয়াবাকে চিহ্নিত করেছেন, তেমনি ইয়াবাকে কক্সবাজারের দুর্গতি হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, ইয়াবা নামের এই গোলাপী বর্ণের বড়িটি কক্সবাজারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কয়েক’শ বছরের অর্জিত আস্থা-সম্মানকে বিনষ্ট করে গোটা কক্সবাজারের জনপদ জনগোষ্ঠীকে হাজার বছরের পেছনে ফেলে দিয়েছে। একইভাবে কক্সবাজারের ভূমি ব্যবহার করে কোটি কোটি ইয়াবার চালান পাঠিয়ে সারা দেশ জুড়ে নেশার দুর্যোগ ঘটানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা কক্সবাজারবাসী বছরের পর বছর ধরে সেই লজ্জার ধকল বয়ে বেড়াচ্ছি। এ ঘৃণার বোঝা দিন দিন বেড়ে অসহনীয় হয়ে উঠছে।

ইয়াবা নির্মূলে বরাবরই আপোষহীন ভূমিকায় থাকা সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা নিজেও ইয়াবা সিন্ডিকেট দ্বারা চরমভাবে নির্যাতিত হন, সর্বশেষ এর অন্যতম হোতা ওসি প্রদীপের হাতে মরতে মরতে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ফরিদুল মোস্তফা সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতি উল্লেখ করে জানান, ইতিপূর্বে মাদক নির্মূলের নামে ওসি প্রদীপরা যেসব অভিযান পরিচালনা করেছে তা ছিল মাদকসেবী মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদারদের শিখিয়ে দেওয়া মতে। তারা নিজেদের প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করার ছক তৈরি করে দিতো। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহারকারী মাদক সম্রাটরা বরাবরই সেসব অভিযানে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে। এখনও তারা আছেন বহাল তবিয়তে।

তবে র্যাবের অভিযান ছিল খুবই চমৎকার। কিন্তু বিশাল দাপুটে ইয়াবা সিন্ডিকেট একটি মাত্র ঘটনাকে পুঁজি করে র্যাবের প্রশংসিত সেই অভিযানকে থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এরপর থেকেই চরম হতাশায় কাটাচ্ছেন কক্সবাজারের মানুষজন। মাদক ব্যবসায়ীরা একচ্ছত্র প্রভাব, সমাজ ও প্রশাসনকে নির্লজ্জভাবে নিয়ন্ত্রণ, জনপ্রতিনিধিদের কব্জায় ফেলে রাখাসহ আলাদা মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে রীতিমত। মাদক বাহাদুরির অন্ধ সাম্রাজ্যে মাদক ফাদাররাই দন্ডমুন্ডের হর্তাকর্তা। সেখানে তাদের কথাই শেষ কথা, তাদের চাওয়াতেই আইন বিচার, সালিশ দরবার।

কক্সবাজারের সচেতন দেশপ্রেমী সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ বাসিন্দারাও অভিন্ন মতামত ব্যক্ত করে বলেছেন, যেভাবে চলছে তা সভ্য সমাজ ও আইনবদ্ধ রাষ্ট্রে চলতে পারে না, চলা উচিত নয়। অচিরেই স্থায়ী সমাধান জরুরি। সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শুধু কক্সবাজার কেন্দ্রিক বিরতিহীন অভিযান চান তারা। সেই অভিযানে সত্যি সত্যি মাদক থেকে সুস্থ জীবনে ফিরে আসা সুস্থ মানুষজনকে সম্পৃক্ত করা হোক, তারাই মাদকের রিং লিডার থেকে শুরু করে গডফাদারদের চিহ্নিতকরণের সহায়তা করবে। জাতীয় এ কর্তব্য কর্মসূচির মাধ্যমেই কক্সবাজারসহ দেশবাসী মাদকমুক্ত নতুন সূর্য উদ্ভাসিত ভোর দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান।###

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর