সংবাদ দাতা
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রবেশের কিছু টা সামনে গেলে সকলের চোখে পড়ে এন আর সি অফিস। যা মানব সেবায় কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তবে সে অফিসে এখন ঝুলছে তালা আর তালা। যে খানে একটি তালা দিয়েছে জোরপূর্বক দখল কারি প্রতিপক্ষরা আর অপরটি দিয়েছি আমি মালিক জালাল। শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সংবাদ টি শুনে দুপুরে সরজমিন গেলে এ অভিযান করেন ভুক্তভোগী জালাল। ওই অফিস টি স্থানীয় হ্নীলা নাটমোড়া পাড়ার রশিদ আহমদের ছেলে জালাল উদ্দীন জমির মালিক হয়ে ভাড়া দেন। তাহার অভিযোগ দুই জনের একটি সিন্ডিকেট বিভিন্ন কৌশলে জোরপূর্বক জমিটি দখল করতে অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
জালাল বলেন, আমাকে মৃত মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন এর স্ত্রী রাজিয়া গং অর্থাৎ ইলিয়াস, মরিয়ম, জায়নাব, সুফিয়া সর্ব পিতা মোঃ রফিক উদ্দীন। বিশ্বাস করিয়া তাহার বর্ণিত জমিনের শাসন সংস্কার, পরিচালনা, তদারকি, চাষাবাদ, লাগিয়াত সহ প্রয়োজনীয় তদারকি করার জন্য আমাকে পাওয়ার অফ এটনি মূলে বা ক্ষমতা নামাপত্র দশ বছরের জন্য (২০২০ হতে ২০২৮) সাল পর্যন্ত প্রদান করেন। যাহার ১৬৮১ নং খতিয়ানের ৪৯৩৩ নং দাগের ওই জমিনে একটি দোকান ঘর নির্মান করে দীর্ঘ দিন ভাড়া দিয়ে আসছিলাম। কিন্তুু ওই দোকান না করে আমি অফিস হিসাবে ভাড়া দি একটি এনজিও সংস্থা এন আর সি কে। পরে তা সহ্য করতে না পেরে পেরে রশিদ আহাম্মদের ছেলে নুরুল কবির ও কাশেম নামের ব্যাক্তি দ্বয় আমার ভাড়া দেওয়া অফিসে তালা লাগিয়ে দে। যা আমি ওই ক্যাম্পের দায়িত্ব সি আই সি কেও অবহিত করি। যে মহিলা এখানে জমির দাবী করতেছে বলে শুনতে পাচ্ছি সেই মহিলার জমি এই দাগে নেই। যে ছবিটি আমাকে দেখভাল করার জন্য দেয়া হয়েছে তার দলিল আদিল্লা আমার কাছে স্পষ্ট আছে।
এখনো পর্যন্ত নুরুল কবিরেরা আমার ভাড়া চালিত অফিস জোরপূর্বক তালা দিয়ে আমার ভাড়াটিয়াদের কাজে ব্যাহত করছে যা আইনগত অপরাধ বলে মনে করি। শুধু তা করে কান্ত হয়নি কৌশলে আমাকে হত্যা ও অপহরণ হুমকি দিচ্ছে। ওই দোকানের তালা খুলে দিতে আমি প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি। পাশাপাশি তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি ।
স্থানীয় মেম্বার রশিদ আহাম্মদ জানান, জালাল ভাই এ বিষয়ে আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তাহার দোকানে নাকি তালা লাগিয়ে দিয়েছে । তাই আমি বিবাদীদের সাথে জানতে চাইলে তারা বলছেন এখানে জালালের কিছু নাই অথচ আমি জালালের কাগজপত্র দেখে যা অনুমান করেছি তা অনুযায়ী এখানে সমস্ত কিছু জালাল রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নুরুল কবিরের সাথে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাহার দোকানে বা অফিসে আমি তালা লাগায়নি। ওই জমিনের মালিক মহিলা তালা লাগিয়ে দিয়েছে। অপর ব্যক্তি কাশেমের মোবাইন নাম্বার না পাওয়ায় তাহার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, বিষয়টি সুরাহা না হলে যেকোনো মুহূর্তে দুই পক্ষের মধ্যেই সংঘর্ষ হতে পারে, তাই বিষয়টি দ্রুত সমাধান করলে ভালো হয়।
Leave a Reply