1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভিডব্লিউবি কার্ড বিতরণে চেয়ারম্যানের স্বজনপ্রীতি! ক্ষোভে কার্ড ছুড়ে পুকুরে ফেললেন ইউপি সদস্য টেকনাফে সেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত প্রধান অতিথি, সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র: নেপথ্যে প্রথম আলো? টেকনাফে ‘মানবতার দেয়াল’ এখন পুলিশ বক্সের সামনে নদীতে মাছ শিকারে জেলেদের জলসীমা অতিক্রম না করার পরামর্শ ইউএনও’র টেকনাফে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত। চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলনে উখিয়া-টেকনাফ সড়ক অচল স্বামী হেলালের বাড়ি থেকে টাকা,স্ব*র্ণা*লংকার সহ স্ত্রী চলে  যাওয়ার অভিযোগ, মানছেনা কোন বিচার।  টেকনাফে আঃ লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ গ্রে*ফ*তা*র ৬ জন  পরিচ্ছন্নতা অভিযান উপলক্ষ্যে বিডি ক্লিনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত প্রকাশিত সংবাদের ভুল বুঝাবুঝির অবসান- যুবদল নেতা রেজাউল করিম

তাড়াশে চলছে অবাধে শামুক নিধন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

ফিরোজ আল আমিন, চলনবিল।

চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশে অবাধে চলছে শামুক নিধন। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। অথচ এক সময়ে জীববৈচিত্র্যের তীর্থভূমি ছিল এ চলনবিল।

জানা গেছে, আট থেকে দশ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে বিলের বিভিন্ন অংশে জাল দিয়ে অবাধে চলছে শামুক নিধন। শামুক মূলত হাঁসের খামার, চিংড়ির ঘেঁরে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুমে এ উপজেলার ১০ থেকে ১৫ টি পয়েন্টে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণহারে শামুক নিধন চলছে। এভাবে প্রতিদিন নির্বিচারে শত শত মন শামুক নিধনের ফলে চলনবিলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চলনবিলের তাড়াশ অংশে শামুক নিধনের মোহা উৎসব চলছে। কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ টন শামুক সংগ্রহ করে বিক্রি করছে। বর্ষাকালে চলনবিলে কোনো কাজ থাকে না। তাই বাধ্য হয়েই উপার্জনের আশায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ছোট ছোট নৌকা নিয়ে বিলের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে ডুবে যাওয়া ফসলি জমি থেকে নেট জাল, হেসি জাল, মই জাল ও হাত দিয়ে শামুক সংগ্রহ করছে।

কামাড়শোন এলাকার মৌসুমী শামুক ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, ‘প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ট্রাক শামুক চলে যাচ্ছে বাগেরহাট, যশোর, খুলনার চিংড়ির ঘেরে। বিশেষ করে নাটোর, রাজশাহী, নীলফামারী, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম অঞ্চলে হাঁসের খামারে শামুকের বেশ কদর রয়েছে।’

উপজেলার আমবাড়িয়া এলাকার শামুক ব্যবসায়ী ইয়াসিন আলী জানান, ‘বর্ষা মৌসুমে আমন ধানের জমিতে প্রচুর পরিমাণ ছোট, মাঝারি ও বড় শামুক পাওয়া যায়। চলনবিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে এলাকার লোকজন বস্তা প্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ শ’ টাকা দরে শামুক বিক্রি করে।’

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শামুক নিধনের জন্য বিভাগীয় কোনো দিক নির্দেশনা না থাকায় আমাদের কৃষি বিভাগের করণীয় কিছু নেই।

এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা অনুষদের ডিন ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম জানান, চলনবিলে অবাধে শামুক নিধনের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। পাশাপাশি বিলের কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। এছাড়া শামুক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়ায় চলনবিলের শত শত হাঁস-খামার ব্যবসায়ীরা প্রাকৃতিক খাদ্য শামুক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।###

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!