শামসুল আলম শারেক/জামাল উদ্দিন,টেকনাফ।
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের প্রকল্পে ব্যাপক হরিরলুট চলছে। উপজেলায় প্রণীত শ্রমিক তালিকার বাইরে গিয়ে অধিক সংখ্যক কম শ্রমিক দিয়ে সংস্কার কাজ করানোরও অভিযোগ উঠেছে। ০১ অক্টোবর (রবিবার) সকাল ১০ টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ড সংশ্লিষ্ট ২ টি প্রকল্পে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি।
১,২ ও ৪ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রাহামা আক্তার ও ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার বেলাল উদ্দীনের চলমান প্রকল্প নাইক্ষ্যংখালী বৃহত্তর কবরস্হান সংস্কার। এই প্রকল্পে সরকারী তালিকা মোতাবেক১২৯ জন শ্রমিক থাকার কথা রয়েছে। তার মধ্যে ৭৭ জন পুরষ শ্রমিক, ৫২ জন নারী শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দুই জনের প্রকল্পে শ্রমিক কাজ করছে সর্বসাকুল্যে ৪০/৫০ জনের মত, যদিও বা সংশ্লিষ্ট কাজের মাঝি মো: আমীন ৭০/ ৮০ জন শ্রমিক আছে বলে দাবী করলেও তৎমধ্যে
দেখা যায় ২০/৩৫ জনের মত পুরষ শ্রমিক, ও ১৫/২০ জনের মত নারী শ্রমিক, নারী শ্রমিকরা কোন ধরনের কাজ না করে গাছের ছায়ায় বসে থাকতেও দেখা গেছে। ১২৯ জনের মধ্যে দুই মেম্বারের শ্রমিক পাওয়া যায় ৪০ জনের মত, আর বাকী শ্রমিক গুলো কোথায়? এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
একই ভাবে ১ নংওয়ার্ডের বশির মেম্বারের প্রকল্প রোজার ঘোনা সরকারী প্রাথমিকবিদ্যালয় থেকে ফরিদুল হকের বাড়ি পযর্ন্ত। ঐ প্রকল্পে ৯৪ জন শ্রমিকের মধ্যে ৭১ জন পুরুষ ২৩ জন নারী শ্রমিক থাকার কথা থাকলেও সর্বসাকুল্যে পুরষও নারী শ্রমিক দেখা যায় ৪৫ জনের মত। তৎমধ্যে পুরষ শ্রমিক ৩৫ জন নারী শ্রমিক মধ্যে দেখা যায় ১০ জনের মত। তারাও দেখা গেছে উক্ত প্রকল্পের কাজ দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভীটে ভরাট করতে।
ঐ প্রকল্পের শেড মাঝি কাদির হোসেন ও নবী হোসেন জানিয়েছেন একটা গরীব লোকের বসতভিটা ভরাট করতে আমাদের নাস্তা খাওয়েছে তাই এটাএকটু ভরাট করছি। বাকী শ্রমিকদের ব্যাপারে জানতে চাইলে এদের কে মেম্বার বাড়ি দিকে নিয়ে গেছে বলে জানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১,২ ও ৪ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রাহামা বলেন, আপনারা সরেজমিনে গিয়ে যে ভাবে পেয়েছেন সেইভাবে লিখেন আমি কি আর বলব।
১ নং ওয়ার্ড মেম্বার বশির আহমদ বলেন, আমি অসুস্থ তাই সরজমিনে গিয়ে দেখা শুনা করতে পারছিনা ওখানে শেড মাঝি কে দায়িত্ব দিয়েছি, তবে বাড়িতে শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন বাড়িতে একটা টিবউয়েলের কাজ চলছে তাই ৪/৫ জন শ্রমিক নিয়েছি।
২ নং ওয়ার্ড মেম্বার বেলাল উদ্দিন বলেন,আমাদের সাইট দুইটা তাই দুই দফায় ভাগ করে কাজ চলছে, তবে দুই টা সাইটের কথা বললেও একটি সাইটের খোঁজ মেলেনি।
দায়িত্ব প্রাপ্ত টেক অফিসার পলাশ বলেন, আমরা ইউএনও, পিআইও, ও ইন্জিনিয়ার’সহ গত সপ্তাহে প্রকল্প দেখার জন্য গিয়েছিলাম আমরাও শ্রমিক উপস্হিতি একইভাবে পেয়েছি।
টেক অফিসার আব্দুল করিম বলেন, শ্রমিক উপস্থিতির বিষয়ে আমরা মাঝি’সহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছি, আগামী সপ্তাহ থেকে তালিকা অনুযায়ি শ্রমিক উপস্হিত হবে বলে আশা করছি।অন্যথায় নতুন ভাবে গরীব শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি আই ও) মোঃ হাবিবুর হমান বলেন, অফিস চলাকালীন সময়ে অফিসে এসে আমার সাথে কথা বলেন। আমি মোবাইলে কথা বলতে পারাবো না।
Leave a Reply