1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টানা ৫ দিনের ছুটি রাত ১১টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেইজবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদ চেয়ারম্যানের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন টেকনাফের হ্নীলায়১০ লক্ষটাকা চাঁদা দাবী ব্যর্থহওয়ায় অপহরণের হুমকি!থানায় অভিযোগ মেয়ে ও জামাই অ’বৈ’ধ ভাবে জমি দ’খ’লে’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  দেশে ভেসে এলো ‘টর্পেডো’, এলাকায় আতঙ্ক র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম হ্নীলায় বসতবাড়িতে ঢুকে ভাংচুর,লুটপাট ওচুরিকাঘাতে যুবক আহত,থানায় এজাহার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শতভাগ প্রভাবমুক্ত হবে: ইসি আহসান হাবিব

টিকিট ছাড়া পার্কে ৫ শিশু, কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন ইউএনও

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসন পরিচালিত একটি পার্কে টিকিট ছাড়া প্রবেশ করায় ৫ শিশুকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিনের নির্দেশে দুজন গ্রাম–পুলিশ ও আনসার সদস্যদের প্রহরায় শিশুদের তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর পার্ক থেকে তাদের আটক করেন গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। পরে তাদের ওই শাস্তি দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর পার্কটি ঈদের দিন চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পার্কের দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন। সীমানা প্রাচীর দিয়ে পার্কটির চারপাশ আটকে একটি প্রবেশদ্বার রাখা হয়েছে। পার্কের ভেতরে শিশুদের খেলার জন্য বসানো হয়েছে ১৫-১৬টি বিভিন্ন রাইড। এ ছাড়া পার্কে প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা।

সোমবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার হাতিরকান্দি, তুলাসার ও স্বর্ণঘোষ এলাকার ১০ থেকে ১৩ বছর বয়সী কয়েকজন শিশু পার্কের আশপাশে খেলাধুলা করছিল। এ সময় তারা নিরাপত্তা প্রহরীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমানা প্রাচীর টপকে পার্কে প্রবেশ করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে গ্রাম–পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের মধ্যে ৫ জনকে আটক করেন।

অভিযোগ উঠেছে, পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন ওই শিশুদের মধ্যে চারজনকে কানে হাত দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন। ওই ঘটনার সময় পার্কে উপস্থিত অনেক দর্শনার্থী মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলেন ও ভিডিও ধারণ করেন।

পার্কে দায়িত্বে থাকা প্রহরী জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী বলেন, দেয়াল টপকে কিছু ছেলে পার্কে প্রবেশ করে। পরে তাদের ধরে শাস্তি দেওয়ার জন্য পানিতে দাঁড় করে রাখা হয়। তবে কানে ধরার বিষয়টি আমি জানি না।

ভুক্তভোগী এক শিশু বলে, আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। আমার সাথে থাকা অনেকে ভেতরে ঢুকছে, তাই আমিও ওদের সাথে ঢুকছি। পরে আনসাররা মিলে আমাকে সন্ধ্যা থেকে ৯টা পর্যন্ত আটকে রাখছে। ইউএনও এসে আমাকে কান ধরে রাখতে বলছে আর পার্ক বন্ধ হওয়া পর্যন্ত আটকে রাখতে বলছে।

ভুক্তভোগী আরেক শিশু বলে, আমরা বুঝতে পারলে ঢুকতাম না। আমাদের অনেকক্ষণ দাঁড় করাইয়া রাখায় পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। ওনারা অনেক রাগারাগি করছে। আমরা আর কখনো পার্কে যাব না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকজন দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকলে গ্রাম–পুলিশ ও দায়িত্বরত যারা ছিলেন তারা ওদেরকে ধরে আটকে রাখেন। আমি গিয়ে কাউন্সিলিং করে ছেড়ে দিই। ওরা দুয়েকজন হয়তো ভয়ে কানে হাত দিয়েছিল। ###

 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর