1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অবশেষে জামিনে মুক্ত মাওলানা মামুনুল হক টেকনাফে আওয়ামী লীগ নেতা সহ ৩ কৃষক অপহরণ ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার সীমান্তে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ – সচিব কামরুল হাসান(এনডিসি) দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ, বাড়ি ফেরার উচ্ছ্বাস নাবিকদের ৩ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার কক্সবাজারের উখিয়া নাফনদী ১০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । টেকনাফ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সরোয়ার আলম মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন  বিজিবি’র অভিযানে বিদেশি মদ উদ্ধার বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতন-মারধার টেকনাফে নির্মাণ শ্রমিক উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত

পছন্দ হলেই জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করা যে দেশের রীতি

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে বিয়ের রীতি-নীতিতে রয়েছে আকাশ পাতাল পার্থক্য। কোথাও বউ কেনার হাট কোথাও বা বর। আবার বর কনের পালিয়ে যাওয়া রীতিও রয়েছে। কিন্তু এমন একটি দেশ আছে যেখানে কনেকে বিয়ের আগে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান বর।

তবে এটি কিন্তু মোটেই মজা করে নয়। বরং সেখানে বিবাহযোগ্য কোনো পুরুষ যেকোনো মেয়েকে পছন্দ হলে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে পারেন।

শুনতে অবাক লাগছে নিশ্চয়ই? যেখানে পুরো বিশ্বে নারীর অনুমতি ছাড়া জোরপূর্বক বিয়ে করা আইনে নিষিদ্ধ, সেখানে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ কিরগিজস্তানে ঠিক তার একেবারেই উল্টো। এখানে আজো জোরপূর্বক বিয়ে একটি সাধারণ ব্যাপার। এর ফলে অল্পবয়সী মেয়েদের অপহরণের ঘটনা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনা অনেক বেশি এখানে।

কিরগিস্তানে জোরপূর্ব্বক বিয়ের রমরমা সবচেয়ে গ্রামগুলোতে। দেশটির মোট ৬০ শতাংশ বিয়ের ক্ষেত্রে এই জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা ঘটে। এই ধরনের বিয়েকে নাম দেওয়া হয়েছে আল কাচুউ। রীতি অনুসারে, ছেলেরা দল বেঁধে একটি মেয়েকে খোঁজে এবং পছন্দ হলে সঙ্গে সঙ্গে তারা মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আর এই সব ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটে বলে জানা গেছে।

তবে একটা সময় কিরগিজস্তানে কনে অপহরণে করে বিয়ের বিরুদ্ধে একটি কড়া আইন ছিল। সেই সময় এই দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সোভিয়েত ভেঙে গিয়ে কিরগিজস্তান আলাদা রাষ্ট্রের মর্যাদা পাওয়ার পর আইনের বিলোপ ঘটে।

দেশের নিয়ম অনুযায়ী ছেলেরা বিবাহযোগ্য হলেই, পরিবার তাকে আল কাচুউর দিকে প্ররোচিত করে। শুরু হয় কনের খোঁজ। টার্গেট করা হয় সুন্দরী ও সুস্থ মেয়েদের। আর এই জোরপূর্বক বিয়ের সবচেয়ে বেশি শিকার হয় দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা। মেয়েকে অপহরণের পর নিয়ে যাওয়া হয় ছেলের বাড়িতে।

এরপর ছেলের বাড়িতে হাজির হয় মেয়ের পরিবারের লোকজনও। অনিচ্ছা সত্ত্বেও অপহৃতকে বিয়েতে রাজি হতে হয়। যেহেতু দেশটি মুসলিম অধ্যুষিত, তাই বিয়েতে সম্মতি না দিলে পরবর্তীকালে ওই নারীর বিয়ে দিতে অসুবিধায় পড়তে হয় পরিবারকে।

এদিকে ছেলের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর অপহৃত নারীর মাথায় একটি সাদা স্কার্ফ জোর করে বেঁধে দেওয়া হয়। যার অর্থ মেয়েটি বিয়ের জন্য প্রস্তুত। অনেক সময় বয়সের কারণে বিয়ে করতে অস্বীকার করে অপহৃত। এরপর ছেলের বাড়ির লোকেরা মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করে। তাদের বাড়ি, ধন-সম্পদ দেখিয়ে তাকে প্রলোভন দেখায়। তাতেও রাজি না হলে শুরু হয় মেয়েটির ওপর অত্যাচার। যদি মেয়েটি কোনো অবস্থায় বিয়ে করতে রাজি না হয়, তাহলে ধর্ষণ ও খুন করতেও দ্বিধা করেন না তারা। ২০১৮ সালে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল সেখানে। ###

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর