টেকনাফ ৭১ ডেস্ক
এই পৃথিবী দুই শ্রেণির মানুষের জন্য বসবাসের যোগ্য। এক হলো নিন্মবিত্ত আরেক হলো উচ্চবিত্ত। মধ্যবিত্ত নামে কোন শ্রেণি থাকা উচিত নয়। তবে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের মধ্যে দুইটা জিনিস বেশি থাকে। প্রথমটি হলো ইগো আর দ্বিতীয়টি হলো লজ্জাবোধ। তারা জন্মের সময়েই একগাদা ইগো সাথে করে নিয়ে জন্মায়। আর লজ্জাবোধের কারণে জীবনে তাদের অনেক কিছু অপূর্ণ্য থেকে যায়।
মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ স্বপ্ন দেখতে দেখতে বড় হয় এবং একপর্যায়ে সে বুঝতে পারে জীবনটা স্বপ্ন নয়, জীবনটা হলো কঠিন বাস্তব। তারা সব সময় সুখ খোঁজে। তবে সুখ তাদের নিত্যসঙ্গী নয়। শুধু শুধু জীবনের মানে খুঁজে বেড়ায়। আর বেড়ানোটাই হলো তাদের স্বভাব।
তারা অল্পতে তুষ্ট হতে পারে না।আবার অল্পতে অসন্তুষ্টুও থাকতে পারে না। তারা সবার কাছে ভালোবাসা খোঁজে কিন্তু,এটা তাদের কাছে অপরাধ।
মধ্যবিত্তরা কখনো উচ্চবিলাসী হতে পারে না। কারণ এটি তাদের জন্য গুনাহের পর্যায়ে পড়ে। তাদের আবেগ অত্যাধিক বেশি থাকে। কিন্তু তারা খুব ছোট থাকতেই আবেগকে গলা টিপে খুন করতে শিখে ফেলে। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই আবেগপ্রবন,পাগলাটে,স্বপ্ন বিলাসী মানুষগুলোকে কেউ বুঝতে চায় না। তাদেরকেই সবকিছু সামলে চলতে হয়।
বর্তমানে মহামারী করোনা পরস্হিতিতেও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা ইগো ও লোক লজ্জায় কারণে সবকিছু থেকে বঞ্চিত। এই দুঃসময়ে তাদের অনেক কিছুর চাহিদা রয়েছে। আর এই চাহিদার কথা কিন্ত তারা বলতে গিয়েও বলতে পারছে না আত্মসম্মানবোধ তাদের জড়িয়ে রেখেছে বিধায়। কেউ নিজ থেকেও তাদের খবর রাখে না। যারা খেয়াল ও খবর রাখার কথা তারা ভাবে মধ্যবিত্তরা মোটামুটি সচ্ছল। তারা নিজেদেরকে সামলিয়ে নিয়ে এই দূর্যোগ থেকে কাটিয়ে উঠতে পারবে।
আসলে কী মধ্যবিত্তরা এই দূর্যোগে কোন ধরনের সহযোগিতা ছাড়া নিজেদের ঠিকিয়ে রাখতে পারবে!দেখা যাক কী হয়? চলবে,,,,
লেখক,শিক্ষক, সাইফুল ইসলাম( 01818083534)
Leave a Reply