• ফারুকুর রাহমান টেকনাফ।
কক্সবাজারের টেকনাফে দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। ওই সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সীমান্ত জনপদে। এমনকি দেখা মিলেছে সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করা কৃষকের মুখে হাসি। স্থানীয় সহ দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা ভিড় করছে সূর্যমুখী ফুল বাগানে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব স্থানীয় ও পর্যটকেরা ছবি ভিডিও সহ বিভিন্নভাবে ফুল বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করছে। তবে টেকনাফ সদরের মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন পর্যটন এলাকার স্থানীয় কেফায়েত উল্লাহ নামক এক কৃষক মাত্র এক খানি জমিতে এই সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করে।
জানা যায়, মূলত কৃষক কেফায়েত উল্লাহ এই সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করার প্রধান উদ্দেশ্য তেল সংগ্রহ করা। এসব তেল সংগ্রহ করে লাভবান হওয়ার আশায় সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করছে তিনি। তবে ফুলের ভালো ফলন হওয়াতে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পরছে এই কৃষক।
এদিকে স্থানীয় এবং দর্শনার্থীরা জানান, অপরূপ সৌন্দর্যের এই সূর্যমুখী বাগান দেখতে খুব ভালো লাগছে ইতি পূর্বেও টেকনাফে দুই একটা এমন বাগান করতে দেখেছি। ওই কৃষকেরা তারা তাদের সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা আশা করছি এই সূর্যমুখী ফুল বাগানের মাধ্যমে এই কৃষক তাদের মতোই সফল হবেন এবং এটি তাদের চেয়ে একটু ভালো হয়েছে। পাশাপাশি টেকনাফ একটি সুন্দর জায়গা তবে কিছু অসাধু মানুষের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে। আমরা অনুরোধ রাখবো এই সমালোচনা থেকে বাঁচতে কৃষকেরা সুন্দর উদ্যোগ গ্রহণ করে সুন্দর একটি টেকনাফ গড়ে তুলবে।
এই সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক কেফায়েত উল্লাহ জানান, কৃষি অফিসের দিকনির্দেশনায় কৃষি অফিসারের সহযোগিতায় আমি এই উদ্যোগটি নিয়েছি। তিন মাস আগে চারাগুলো রোপণ করেছি খুব ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে সূর্যমুখী ফুলের তেলের ভালো চাহিদা থাকায় আমি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যদি এভাবে কৃষি অফিস পাশে থাকে এবং আমাকে তেল সংগ্রহের সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করলে ইনশাআল্লাহ আমি আমার সাফল্য অর্জন করতে পারব।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম জানান, সূর্যমুখী টেকনাফের জন্য নতুন একটি ফসল টেকনাফ উপজেলায় টোটাল ৪ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। তেলের ক্ষেত্রে সূর্যমুখী একটি তেল ফসল। টেকনাফের জন্য এটা উপযোগিতা রয়েছে। মাঠে হালকা লবণাক্ত পানি সচল থাকায় এটা যোগ্যতম ফসল হিসেবে প্রচলন করা যায়। কৃষকের লাভবানের ক্ষেত্রে সূর্যমুখী ফুলের তেল অত্যন্ত দামি একটি তেল। বাসায় ব্যবহারের পাশাপাশি বাজারে ও বিক্রি করার একটি সুবিধা আছে।
আমরা টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে থাকি।
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি যেন কোন পোকামাকড় ফসলের ক্ষতি না করে। টেকনাফের জন্য সূর্যমুখী নতুন ফসল হিসেবে সে ইনশাআল্লাহ লাভবান হবে এটা আমরা আশাবাদী আরো আশা করছি টেকনাফে সূর্যমুখী ফসল একটি অন্যতম ফসল হিসেবে পরিচিতি পাবে।
Leave a Reply