আহমদ উল্লাহ রিয়াদ:
টেকনাফ বাহাছড়ায় ০৭নং ওয়ার্ডে পানির অভাবে ভুক্তেছে হাজার মানুষ, নেই কোন জনপ্রতিনিধি
বলা যায় এই মহামারি সময় তাদের জন্য আরেক মহামারি,খাদ্যর অভাবে কেউ মরে না পানির অভাবে মরে মানুষ, এলাকা বাসির পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের আব্দুল্লাহ আভেগী স্টাটাস, হুবুহু তুলে ধরা হল
দৃষ্টি আকর্ষন- একদিকে ১৪৪ ধারা জারি অন্যদিকে মৃত্যুর ভয় দুটো মিলে ৭নং ওয়ার্ডের প্রায় ৫০০ পরিবারের নরকীয় জীবন যাপন। কলাগাছ খেয়ে হলেও লকডাউন পালন করব, আপনারা শুধু পানির সমস্যাটা সমাধান করেন, হাজারো মানুষের একই আহাজারি।
আপনারা হয়ত জানেন ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রামে কম বেশী পানির সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে ৭ নং ওয়ার্ডে পানির সংকট খুবই প্রকট।
ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে, পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর আর পূর্বদিকে সু-উচ্চ পাহাড় মধ্যখানে মাটির নিচে যে মিঠাপানির স্তর আছে তা এতটাই গভীরে-যে যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে। ফলে গ্রীষ্মকালে মানুষের কষ্টের সীমা থাকেনা।
গ্রীষ্মকালে বালুরচর ঘেষে কূপ খনন করে সেখান থেকে প্রায় মানুষ কাঁধে করে আঁধা লোনা পানি নিয়ে আসে আর কিছু মানুষ পাহাড়ের চূড়া থেকে নল টেনে পানি এনে ব্যবহার করে।কিন্ত এই সাধ্য-ক্ষমতা কয়জনের-ই বা আছে।
এখানে এমন নজির ও আছে খাবার পানির জন্য কলসি নিয়ে বের হয়ে খালি কলসি নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। এইটা কোনো কিচ্ছা-কাহিনী বা সাজানো গল্প নয়।আপনারা নিজে এসে দেখতে পারেন। প্রতিবছর পানির জন্য মারামারির ঘটনা-ও কম নয়।
জননেত্রী শেখ হাসিনা, গণমানুষের স্বার্থে একদিকে যেমন পুরো বাংলাদেশকে লকডাউনের আওতায় এনেছে, অন্যদিকে মৃত্যুর ভয়,দুটো মিলে ঘর বন্ধী মানুষের পানির সমস্যা এতটাই প্রকট যে, আমি লিখে আপনাদের বুঝাতে হয়ত ব্যর্থ হচ্ছি।
তাছাড়া রোহিঙ্গারা যদি এত ভোগবিলাসী জীবন যাপন করতে পারে তবে স্থায়ী মানুষগুলো কেনো নয়।
মানবতা কি রোহিঙ্গাদের জন্য সীমাবদ্ধ?
আসুন না, একবার দেখে যান, এই দারিদ্র্য মানুষগুলো পানি নিয়ে কি পরিমান কষ্টে আছে।
দেশের এই কঠিন সময়ে যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করেন তবে, এই দারিদ্র্য জনপদের মানুষ আপনাদের যুগযুগ ধরে মনে রাখবে।
নিবেদকঃ
এলাকাবাসীর পক্ষে,আব্দুল্লাহ
সাবেক সভাপতি, হিসাববিজ্ঞান বিভাগঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখা।
01825-274354
Leave a Reply