নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
কক্সবাজার টেকনাফে ব্যটালিয়ন (২ বিজিবি)পৃথক অভিযান চালিয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী ২নং ওয়ার্ডের মৃত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে মোঃ ইয়াসিন (৩৯) ও ছোট হাবীব পাড়া ৭নং ওয়ার্ডের আবু সামাদ এর ছেলে রহমত আলী (২৯) কে আটক করা হয়। এসময় ৪৪ হাজার ৪০০ পিচ ইয়াবা, ১টি প্রাইভেট কার, ২টি এন্ড্রয়েড ফোন ও ১টি বাটন ফোন জব্দ করা হয়।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিঙপ্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২ বিজিবি’র একটি টহল দল পর্যটক মোড় সংলগ্ন পুরাতন মেরিন ড্রাইভ রোড এর জাফর চেয়ারম্যানের বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে। এসময় টেকনাফ হতে কক্সবাজার গামী একটি প্রাইভেট-কার (চট্টমেট্রো-গ-১৫-২১৩৯) এর গতিরোধ করে তল্লাসী অভিযান পরিচালনা করেন। প্রাইভেট-কারে থাকা যাত্রীদের সন্দেহজনক আচরণ ও গতিবিধির কারণে গাড়ীর অভ্যন্তরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশী শুরু করে। তল্লাশীর প্রাক্কালে প্রাইভেট-কারের অভ্যন্তরে ০২টি গ্যাস সিলিন্ডার পরিলক্ষিত হয়। তন্মধ্যে একটি গ্যাস সিলিন্ডার সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হলে গ্যাস সিলিন্ডারটি স্থানীয় লেদ মেশিনের দোকানে নিয়ে কাটা হলে গ্যাস সিলিন্ডারের ভিতরে অভিনব কায়দায় রক্ষিত ৪৪হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় এবং পাচারকারীকে ঘটনাস্থলেই আটক করা হয়।
অপরদিকে দেশের এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান রত কিছু ব্যক্তিদের উন্নত জীবনের আশায় ও মোটা অংকের টাকার চাকরির লোভ দেখিয়ে কিছু দালাল চক্র সাগর পথে মান পাচার কালে ১২ জন পাচারকারি কে আটকের পর মামলা দায়েরের পাশাপাশি ১১ জন ভিকটিম কে উদ্ধার করে নিয়ম অনুসারে তাদের আত্নীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত ১২ জন আসামীরা হলেন, টেকনাফের তুলা তুলি এলাকার মৃত হোসেন আহমেদ এর ছেলে মোঃ আব্দুর রশিদ (৩৫), রেঙ্গুর বিলের নুর বসরের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (২০), থাইংখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের মোঃ আইয়ুবের ছেলে মোঃ আবু তৈয়ব (২৫), মিয়ানমারের বুসিডং এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ ইদ্রিস (৩৫), তুলা তুলির জহির আহমদের ছেলে জাহেদ (১৮),দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার মৃত রশিদল্লাহর ছেলে মোঃ জুবায়ের (৩৩), ছোট হাবিবপাড়ার মৃত সহোরার ছেলে মোঃ ইসমাইল (৩২), জাদিমুড়া ২৭ নং এফডিএমএন ক্যাম্পের মোঃ জহির এর ছেলে মাহমুদউল্লাহ (৩০), কচ্চপিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের স্ত্রী খুরশিদা বেগম(৩৪), কচ্ছপিয়ার নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪০), বড়ডেইল নুর মোহাম্মদের ছেলে নরুল আবছার (১৮), মোহাম্মদ হোসেন এর ডমোঃ ইমরান (২৮)। এ সময় কয়েক জন পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করতে পারেনি তাই তাদের পলাতক আসামি করা হয় তারা হলেন, কচ্ছপিয়ার নুর আহম্মদের ছেলে মোঃ হোসেন (৩১),দক্ষিণ লম্ভরীর হাফিজুর রহমানের ছেলে সাইফুল (৪০),বড়ইতলির নেজাম (৫৫)।
তিনি আরো জানান, মানবতা এবং দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তে যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং মাদক ও মানব পাচার/চোরাচালানের বিরুদ্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply