বিশেষ প্রতিবেদক, টেকনাফ কক্সবাজার।
কক্সবাজার টেকনাফ পৌরসভায় নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে বদলি করা হলেও পুরোনো কর্মস্থলেই ফের বহাল তবিয়তে অফিস করছেন টেকনাফ পৌরসভার উচ্চমান সহকারী ওসমানুর কবির।
গেল ০৫ আগস্টের পর স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রণালয় থেকে তার বদলি হয় চকরিয়া পৌরসভায়। বদলি করে কয়েকদিনের মধ্যে কর্মস্থল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার ‘অনুরোধে’ টেকনাফ পৌরসভায় নিয়মিত অফিস করে ফের নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে।
একজন কর্মচারীর এমন দাপটে আচরণ এবং সরকারি আদেশ অমান্য করার ঘটনায় টেকনাফে সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, এতে শুধু ক্ষমতার অপব্যবহারই হচ্ছে না, বরং টেকনাফের মতো একটি সংবেদনশীল পৌর সভার গোপনীয়তাও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, টেকনাফ পৌর সচিব মহিউদ্দিন ফয়েজী বলেন- দীর্ঘ ১০ মাস পূর্বে গেল ৫ই আগস্টের পরে তার বদলি হয়, কিন্তু সেই চকরিয়া পৌরসভায় জয়েন্ট করতে পারিনি বিদায় সেই ফের টেকনাফ পৌরসভায় বহাল রয়েছে। তবে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ফেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসমানুর কবির বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অথচ টেকনাফ পৌরসভায় তার দ্বায়িত্ব শুরু মাত্র অফিসের চিঠি-পত্র সরবরাহ করা হলেও সেই অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের জন্য করছেন ট্রেড লাইসেন্স, মসা নিধনের ওষুধ ক্রয় -বিক্রয় সহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে অনিয়ম করছে।
গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে রয়েছে তার নামে-বেনামে অঢেল সম্পদ ও কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিলাসবহুল বাড়ি। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক অনুসন্ধান করিলে এসব অবৈধ সম্পত্তির থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে ওসমানের।
সেই ওসমান উখিয়া-টেকনাফের আলোচিত সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদির আপন ভগ্নী পতি, আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক এমপি শাহীন বদির ননদ এর জামাই হওয়ায় তিনি সুকৌশলে বদলি হওয়ার পরও এখনো টেকনাফে বহাল তবিয়তে অদৃশ্য শক্তির বলে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বদলি হয়েও বহাল তবিয়তের বিষয়ের জানতে চাইলে টেকনাফ পৌরসভা সভার উচ্চমান সহকারী ওসমানুর কবির জানান- জি সঠিক আমার বদলি হয়েছিল, কিন্তু চকরিয়া পৌরসভায় পদ শূন্য না থাকায় যোগদান করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করেন, তবে ঘুস বানিজ্য অনিয়ম- দুর্নীতি সহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয় জানতে চাইলে তিনিও স্বীকার করেন।
টেকনাফ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান- বদলি আদেশের বিষয়টি আমি সবেমাত্র শুনেছি, যদি তার বদলির আদেশ হয়ে তাকে অবশ্যই খতিয়ে দেখে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply