পেকুুয়া প্রতিনিধি::হোমিও চিকিৎসক মো: হেলাল উদ্দিন। তাঁর নানাও একজন বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ছিলেন। নানার অনুপ্রেরণায় এ পেশায় তিনি এসেছেন মানব সেবার জন্য। জড়িয়ে পড়েছেন মানবসেবায়। পেকুয়া চৌমুহুনীতে প্রতিষ্টা করেছেন আল মক্কা হোমিও হল। তিনি দিনরাত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে অনেক জটিল পুরানো রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।
ডা: মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, হোমিওপ্যাথিক ঔষধে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, মূল্যেও অনেক সাশ্রয়ী, হাতের নাগালেই পাওয়া যায় এবং সর্বোপরি, এর ভাল কার্যকারিতার কারণে উন্নয়নশীল দেশে এর অধিক প্রসার ঘটেছে। এজন্যই আমাদের দেশের জনসমষ্টির ৪০ ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করে। অনেক দেশের মত বাংলাদেশ বেশ কিছু হোমিওপ্যাথিক সেবার অনুরাগী পেয়েছে এবং এর ক্রমবর্ধমান ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের (বিএইচবি) অধিনে ৫২টি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে। এদের মধ্যে একটি সরকারী এবং বাকিগুলো প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকায় ৩টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। ১৯৭২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে হোমিওপ্যাথিক বোর্ড গঠনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি কাঠামোর আওতায় আনা হয়। এরপরে ১৯৮৩ সালে হোমিওপ্যাথিক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক বোর্ড গঠন করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থাকে করা হয় আরো সুগঠিত।
তিনি আরো জানান, পেকুয়া চৌমুহুনীস্থ তার আল মক্কা হোমিও হলে বর্তমানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। অর্শ রোগ, আমাশয়, আলসার, কানের রোগ, কৃমির সমস্যা, ঘাড় ব্যথা, গলা রোগ, চক্ষু রোগ, জন্ডিস, জরায়ু রোগ, টিউমার, ডায়বেটিস রোগ, দাঁেতর রোগ, সাইনো সাইটিস, হাঁপানি রোগ, হার্নিয়া রোগ, হাম বসন্ত, চর্ম রোগ, যাবতীয় শারিরীক দূর্বলতা, স্মরণ শক্তি দূর্বলতা, মূত্র পাথর, মেছতা, পিত্ততলীর পাথর সহ আরো বিভিন্ন রোগের জটিল ও পুরানো রোগের চিকিৎসা তিনি হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে করছেন।
পরিচিতিঃ ডাঃ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, পিতাঃ মরহুম কবির হোসেন, মাতাঃ মরহুমা রাবিয়া বেগম, ৬ ভাই ১ বোনের মধ্যে তিনি দ্বীতিয়। ছাত্রজীবনঃ চকরিয়া, কৈয়ার বিল খিল ছাদেক সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ সালে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০০০ সালে ভেওলা মানিক চর উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছু দিন পড়ার পর ২০০১ সালে বার বাকিয়া পেকুয়া থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করে চট্রগ্রাম সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে।
একই বছর ২০০৬ সালে চট্রগ্রাম আজিজুর রহমান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২০১১ সালে “ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি ” ( ডি.এইচ.এম.এস) করে ডাঃ হিসেবে স্বিকৃতি লাভ করে।
হোমিও চিকিৎসা পড়া-লেখার পাশাপাশি চকরিয়া স্বনামধন্য হোমিও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ইকো হোমিওতে ৩ বছর প্রেক্টিস করে পরে চট্রগ্রাম হাজারি লাইন ৩৮ নং এ.এ. আর হোমিও ইন্টারন্যাশনালে ৬ বছর প্রেক্টিস করে।
চট্রগ্রামের স্বনাধন্য ডাঃ চন্দন কুমার নাথ এবং ডাঃ ইসকান্দরের কাছ থেকে সফলতার সাথে হোমিও প্রেক্টিস শেষ করে।
বর্তমানে তিনি ” স্বাধীনতা হোমিও মেডিকেল রিচার্স সেন্টার ” উত্তর বাঁশঘাটা, ঈদগাঁও – ইসলামাবাদ, সদর কক্সবাজার, প্রতি রবি বার দুপুর- ২টা থেকে রাতঃ ৮ টা পর্ন্ত।
” আল- মদিনা হোমিও হল ” সুপার মার্কেট, সরলিয়া বাজার, বাঁশ খালী, চট্রগ্রাম, প্রতি বুধবার, সকাল ১০ টা থেকে বিকালঃ ৪ টা পৃৃযন্ত।
” আল-মক্কা হোমিও হল ” চৌমুহনী ( চৌরাস্তার পূর্ব পাশ্বে), ইব্রাহীম চৌধুরী মার্কেট, পেকুয়া, শুক্রু, শনি, সোম,মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার দুপুরঃ ২ টা থেকে রাতঃ ৯ টা পর্যন্ত।
“কে.আর হোমিও ক্লিনিক ” খিলছাদক, কৈয়ারবিল, চকরিয়া, সকালঃ ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত রোগী দেখেন। জরুরী প্রয়োজনে- ০১৮১৮-১৪৫৮৪২, ০১৮২১৭৮১০২৮
২০১৭-২০১৮ সেশনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতাল( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত) “ব্যাচেলার অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি ( বি.এইচ.এম.এস) ডিগ্রী কোর্সে উচ্চতর গবেষণায় নিয়োজিত আছেন।
তিনি দীর্ঘ ৯ বছর সফলাতার সাথে ডাক্তারী পেশায় সুনামের সাথে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ##
Leave a Reply