পেকুয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের মধ্যম উজানটিয়া ফকির পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ছৈয়দের পুত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলা মানববিদ্যা অনুষদের ছাত্র নাজের হোসেন ও তার মা ৭৬ বছরের বৃদ্ধ মহিলা বদিউন নেছা, তার ভাই আনোয়ার হোসেন, সাদ্দাম হোসেন ও তাদের পিতা মোহাম্মদ ছৈয়দের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
গুরুতর আহত অবস্থায় আহতদেরকে স্থানীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে, এতে নাজের হোসেন ও বদিউন নেছার উপর গুরুতর জখম পাওয়া গেছে, বদিউন নেছার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটের দিকে।
ঘটনাটি ঘটেছে ৮ই জুন (সোমবার) দুপুর ১২ টার দিকে মধ্যম উজানটিয়া ফকির পাড়া মুহাম্মদ ছৈয়দের বসতবাড়ীর সামনে চলাচলের রাস্তায়।
হামলাকারীরা হলেন একই এলাকার মৃত্যু আমির উদ্দীনের পুত্র নুরুল হক ও তার ছেলে গোলাম ছোবাহান, আশেক এলাহী, জয়নাল আবেদীন, একই এলাকার আবু বক্করের পুত্র বেলাল উদ্দীন সহ অজ্ঞাত ৩০ জন ।
আহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, নাজের হোসেন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবেশী নুরুল হক ও তার সন্ত্রাসী ছেলেরা আমার পরিবারের উপর বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে আমার বসতবাড়ির ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে গতকাল আমাদের বসতভিঠায় টয়লেট নির্মাণ করতে গেলে তারা আমাদের বলে এখানে টয়লেট নির্মাণ করা যাবে না। এই জায়গায় আমাদের কে ছেড়ে দিতে হবে এক পর্যায়ে তারা আমার বসতভিঠায় নিরাপত্তার জন্য দেওয়া বাউন্ডারি ভাঙচুর করে ও আমার বসতভিঠা দখলের চেষ্টা করে তখন আমরা বাধা দিলে নুরুল হক ও তার ছেলেসহ ৩০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। আমার ভাইয়েরা কম আঘাত পেলেও আমি ও আমার মা গুরুতর আহত হয়। আমার মায়ের অবস্থা খুবই সংকট জনক। তারা বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে ক্ষমতার ভয় দেখায়, আমরা এখনো তাদের ভয়ে বাড়িতে যাইতে পাড়ি নাই, তারা আমাদের কে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, সন্ত্রাসীরা আইনের কাছ থেকে পারপাওয়ার জন্য তারা আমাদেরকে জামায়াত-শিবির টেকদিচ্ছে,আমরা কখনো জামায়াত-শিবিরের সাথে জড়িত নয়।
আমরা প্রশাসনের কাছে তাদের এই নির্যাতনের বিচার ও আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।
অভিযুক্ত নুরুল হকের পুত্র যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিন জানান , আমাদের আত্মীয়দের মধ্যে আমার বাবা ও ভাই, ফুফি এবং ফুফাতো ভাইদের সাথে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে রাগের মাথায় একটু হই ছই হয়েছে এটার জন্য আমার বাবা এবং আমার ফুফির মধ্যে একটু মাথা মাথি হলে ফুফাতো ভাইয়ারা আমার বাবা উপও লাঠির বারি মেরেছে। আমার বাবা আমার ফুফিকে একটা তাপ্পুর মেরেছে, আমার বাবা তার ছোট বোন হিসাবে ফুফিকে একটা তাপ্পুর মারতে পারে। বড় ভাই ছোট বোনকে একটা তাপ্পুর মারা একটা বিশাল অপরাধ নয়। আমি তারপরেও ফুফিকে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছি এবং ফুফির কাছ থেকে আমি ভুল বুঝাবুঝির জন্য ক্ষমা চেয়েছি। এবং ফুফাতো ভাইদের কে বলেছি তোমরা মামার সাথে বেয়াদবি করেছ, তোমরা যদি মামার কাছ থেকে ক্ষমা চাও তাহলে আর কোন বিচারের দরকার নাই। কিন্তু ফুফাতো ভাইয়ারা তা না করে একটা ছোট ঘটনাকে বড় করতেছে। মানবিক সমাজে এটা কখনো কাম্য নয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক ওসমানগণি জানান,আমার জানামতে সে কখনো শিবির করেনি,নিরহ ছেলেকে এভাবে শিবির বানিয়ে দেয়া এটা কখনো কাম্য নয়,কিছু হলে আমরা প্রতিপক্ষকে শিবির বানিয়েদি আমাদের জন্য বড় লজ্জা।
এই বিষয়ে উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান,টয়লেট নির্মাণটা আমি বন্ধ করে দিয়েছি,এটা পরিবেশের ক্ষতি হবে। আমি এটাও জানি ছৈয়দের ছেলেগুলা অত্যন্ত ভদ্র এবং শিক্ষিত, নুরুল হক গংদের নেতৃত্বে তাদের উপর যে হামলা হয়েছে এটা খুবই অন্যায় ও জঘন্য, এই ছেলে গুলা খুবই ভদ্র,এ ছাড়া কখনো জামায়াত-শিবিরের সাথে জড়িত নয়,আমি সেটা পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম সাহেবকে বলেছি, কিছু মানুষ অন্যায় ভাবে হামলা করে পারপাওয়ার তাদের ওপর জামায়াত-শিবির টেক দিচ্ছে, এটা কখনো আমাদের জন্য কাম্য নয়।
Leave a Reply