1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকারি কর্মকর্তাদের মতো ইউপি চেয়ারম্যানদের অফিস করতে হবে, কোথাও গেলে জানাতে হবে ইউএনওকে রিকশাচালককে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে টেকনাফে প্রধান বিচারপতির সুপ্রীম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন। ক্যাম্পের বাইরে এসে গোপনে রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ- সেমিনার, ৩২ রোহিঙ্গা আটক  টেকনাফের হোসেন সহ কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত রাজধানীসহ সারাদেশে হিট স্ট্রোকে’ ৫ জনের মৃত্যু টেকনাফে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির খেজুর বিতরন কর্মসূচীর উদ্বোধন  পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান,বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র- গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার -৫ এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার হ্নীলা পানখালী তে যুবক কে ছুরিকাঘাত! থানায় অভিযোগ

সরকারি ত্রাণের কার্ডের জন্য ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগ

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০
  • ৩৯০ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

সরকারি ত্রাণের কার্ডের জন্য ডেকে নিয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে ই-মেইল ও ডাকযোগে অভিযোগপত্রটি প্রেরণ করেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাবিল তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী ব্যক্তির স্ত্রী আয়েশা আকতার।

তার স্বামী শাহ আলম ওরফে মুল্লুক হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

তিনি বিগত ইউপি নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডের সদস্য পদে (মেম্বার) প্রার্থী ছিলেন।

শাহ আলমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় গত ১২ এপ্রিল মামলাটি করা হয়। হোয়াইক‌্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো: মশিউর রহমান বাদি হয়ে এ মামলা করেন। যার মামলা নং -১৬।

ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৮ আসামির মধ্যে শাহ আলম ওরফে মুল্লুক (৪২) দুই নম্বর।

আয়েশা আকতার বলেন, আমার স্বামীকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ইয়াবা মামলায় আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি ত্রাণের কার্ড বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় চৌকিদারকে সাথে নিয়ে আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পূর্বপরিকল্পিত মামলার দুই নম্বর আসামি দেখিয়ে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।

মূলতঃ মোঃ ইউনুস নামের এক ব্যক্তি তার মালিকানাধীন ১ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা মোঃ মানিক নামের একজন সিএনজি চালক তার সিএনজিতে করে হারুনর রশিদ সিকদার নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়িতে নিয়ে যায়। তাদের সিন্ডিকেটে আরো বেশ কয়েকজন রয়েছে।

আয়েশা আকতার আরো বলেন, মিয়ানমার হতে অবৈধভাবে দেড় লাখ ইয়াবা বাংলাদেশে এনে পাচারের উদ্দেশ্যে নাম্বার বিহীন একটি সিএনজি গাড়ি যোগে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার পথে হোয়াইক্যংয়ের ১ নং ওয়ার্ডের উলুবনিয়া এলাকার হারুনর রশিদ সিকদারের এলাকায় পৌঁছার আগে আমার স্বামীর ব্যবহারের ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে হারুনর রশিদ সিকদারকে তথ্যটি অবগত করেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সিএনজিটি আটক ও ইয়াবার চালান উদ্ধার করা হয়।

হারুনর রশিদ সিকদার আমার স্বামীকে ইয়াবার প্রকৃত মালিককে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য বলেন। আমার স্বামীর দেয়া সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবার প্রকৃত মালিক মোঃ ইউনুস (৩৮)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনার তথ্যদাতা হিসেবে আমার স্বামীকে আসামী বানানো হয়েছে।

এসব কথা পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগে শাহ আলম ওরফে মুল্লুকের স্ত্রী আয়েশা আকতার উল্লেখ করেছেন।

আইজিপি বরাবরে প্রেরিত অভিযোগপত্রটি একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ), পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরাবরও প্রেরণ করেন তিনি।

ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে স্বামীকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য আবেদন জানিয়েছেন আয়েশা আকতার।

সূত্র সিবিএন

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর