টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফে বশির আহমদ ড্রাইভার নামের এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে টেকনাফ বাস ষ্টেষন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের জাহাঁলিয়া পাড়ার মৃত কালু মিয়ার ছেলে। সুত্রে জানা যায়, গেল ১২ জুন (শুক্রবার) দুপুরে বশির আহমদ ড্রাইভারের বড় ভাই প্রবাসী হোসন আহমদ এর স্ত্রীর সাথে কথাকাটি হলে বশির ড্রাইভার ও তার স্ত্রী জয়নব বিবি শাহনাজ বেগমকে দেশীয় অস্ত্র ও ধারালো দা দিয়ে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। উক্ত ঘটনায় শাহনাজ বেগমের ভাই মোঃ জাহেদ হোসন বাদী হয়ে ৪জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি ওই মামলারও পলাতক আসামী। তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানার জি, আর মামলা নং ৩২৮/১৮, ১৬(০৯)১৮ ইং মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে বিবাদীর মা জানান, তার পুত্র বশির আহমদ একজন মাদক পাচারকারী। সে একাধিকবার চট্রগ্রাাম ও কক্সবাজারে ইয়াবাসহ আটক হয়ে কারা ভোগ করেছে।
তিনি আরো জানান, তার পুত্র বধু শাহনাজকে কুপিয়ে আহত করার পর তাকেও প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তারা প্রান নাশের আতঙ্কে দিনাতিপাত করছিল বলেও জানান তিনি। তাকে টেকনাফ থানা পুলিশ আটক করেছে জেনে তার মা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
মামলার বাদী মোঃ জাহেদ হোসেন জানান, তার ভগ্নিপতি হোসেন আহমদ প্রবাসে থাকায়, তার স্ত্রী (বাদীর বোন) শাহনাজ বেগমের সাথে বিবাদী বশির আহমদের প্রায় সময় বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া হত। বশির আহমদ একজন সন্ত্রাস প্রকৃতি ও মাদক কারবারী হওয়ায় পরিবারে সহজেই তার বিরুদ্ধে মুখখোলার সাহস পেতনা। শাহনাজ বেগম বর্তমানে মৃত্যু শয্যায় রয়েছে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বশির আহমদ একজন সন্ত্রাসী, তার সাথে জাহাঁলিয়া পাড়ার পূর্বপাশের পাহাড়ে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ডাকাতদের যোগাযোগ রয়েছে। তাকে আটক করায় টেকনাফ থানা পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ বরলে মাদক ও ডাকাতের বিষয়ে বহু নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।
টেকনাফ মডেল থানার এসআই ইফতেখার ফেরারী আসামী বশির ড্রাইভারকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাদী মোঃ জাহেদ হোসেন।
Leave a Reply