মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ থেকে
দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় বাংলাদেশ-মিয়ানমারের স্থল পথে মাদক চোরাচালান কড়াকড়ী এবং ঝুঁকি থাকায়, দুদেশের গভীর সাগর পথকে নিরাপদ হিসোবে বেঁচে নিয়েছে মাদক চোরাকারবারীরা। এখন পর্যটন মওসূম চলছে এবং একে সামনে রেখে দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ে শীর্ষ মাদক কারবারীরা ফের স্বক্রিয় হয়ে উঠেছে। সাগর পথ নিয়ে আসছে লাখ লাখ ইয়াবা। মাদক পাচারে একমাত্র মাছধরার ফিসিং বোটকে নিরপদ মনে করে ওরা এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মিয়ানমারের মংডু ও আকিযাব এর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট সে দেশের কার্গোবোট যোগে সেন্টমার্ঠিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিম দুদেশের জলসীমায় হাত বদল হয়ে ফিসিং বোট যোগে অভিনব কৌশলে অবস্থা বেধে কক্সবাজার খোরসকুল, ইসলামপুর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও বাঁশখালীতে খালাস হয়। সূত্র মতে গভীর সাগরের পথ নিরাপদ থাকলে মিয়ানমার থেকে সরাসরী ফিসিংবোট বোট ভর্তি লাখ লাখ ইয়বা ট্যাবলেট, বরিশাল, ভোলা, মহিপুর, নারায়নগঞ্জ, সাগর ও নদীর উপকূলে খালাস হয়ে বিভিন্ন পণ্য বোঝাই পরিবহন ও যানবাহনের অড়ালে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যায়। বাংলাদেশের রাজধানীর ঢাকাতে দৈনিক প্রচুর পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট এর চাহিদা থাকায় এর যোগান সমানতালে বাড়ছে। মাদক ব্যবসার স্বার্থে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীরা মিয়ানমারে মোবাইল সীম ব্যাহার করছে। হুন্ডি, বিকাশ এবং বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পণ্যের আড়ালে মাদকের টাকা টেকনাফে চলে আসে। বিকাশ ও হুন্ডি প্রতিষ্ঠানের নজরদারীর অভাবে ওদের দৌরাতœা বাড়ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে বসে শীর্ষ মাদক কারবারীরা এর নিয়ন্ত্রন করছে। সমপ্রতি টেকনাফ কোষ্ঠগার্ড বাহিনী সাগরে অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা, ৭ পাচারকারীসহ একটি ফিসিংবোট আটক করে ছিল।
টেকনাফ কোষ্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেঃ আমিরুল হক তিনি এ দপ্তরে যোগদান করার পর নাফনদী ও সাগর উপকূলীয় এলাকা মাদক রোধে টহল অব্যাহত রেখেছে। তিনি জানান, গভীর সাগরে মাদক পাচারের খাবর আমিও শুনেছি। তবে গভীর সাগরে অভিযান পরিচালনা করা নিয়ম নেই। এর দায়িত্ব বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর । চলবে ….
Leave a Reply