মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ থেকে
টেকনাফে পর্যটন উপ শহরে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। এর সাথে আরও নতুন নতুন প্রকল্প যুক্ত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা সূত্রে জানায়, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গ্রামকে শহর করার যে পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছিলেন তা বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে সকল দেশ। এরপরও স্বল্পোন্নত বাংলাদেশ সকল দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশের উন্নয়ন, জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের চাকা সচ্ছল রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে।
টেকনাফ উপজেলায় ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহপরীরদ্বীপ বেড়িবাঁধ নির্মাণ, ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ, প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মাণ, প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ নির্মাণ, প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন কাম সাইক্লোন শ্লেষ্টার নির্মাণ, প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার ড্রেন ও গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ, ৫৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন সড়ক কালভার্ট নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
এর পাশাপাশি আরও নতুন প্রায় ২০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার আহবান করার চিঠি পাওয়া গেছে বলে টেকনাফ উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাতটি স্কুল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার ও সড়ক সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ।
সূত্রে জানায়, কক্সবাজার লিংক রোড হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ আরম্ভ হয়েছে। যা বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার হোয়াক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং পর্যন্ত চলমান রয়েছে। চলতি বছরে উনচিপ্রাং হতে টেকনাফ পৌর শহরের শাপলা চত্বর পর্যন্ত তিনটি প্যাকেজে ৪৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কের বাকি কাজ শীঘ্রই আরম্ভ হবে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া টেকনাফ উপজেলায় জালিয়ার দ্বীপ ও সাবরাং খুরেরমুখ দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাটের কাজ প্রায় সমাপ্ত করেছে। উক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে বলে সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও টেকনাফ উপজেলা ও পৌরসভা প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক ভবন, সড়ক কালভার্ট ও সৌর বিদ্যুতের সৌলার বিতরণসহ শত শত কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ বিদ্যমান রয়েছে।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে এলাকার জনগণ আখ্যায়িত করছে। এ সমস্ত কাজের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উখিয়া-টেকনাফ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম ও টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম।
Leave a Reply