ফাইল ছবি
টেকনাফ থেকে প্রতিনিয়ত পাকস্থলিতে করে ইয়াবা আনছিলেন মকবুল-রত্না দম্পতি। ঢাকায় আসতে ব্যবহার করেন বিলাসবহুল এসি বাস। সম্প্রতি তাদের পেটে সাড়ে ৫ হাজার ইয়াবা পেয়েছেন গোয়েন্দারা। শুধু যাত্রী নয়, এ কাজে বাস কর্মীদের সংশ্লিষ্টতাও পেয়েছে ডিবি। গ্রিন লাইনের একটি বাসের এসি ভেতর মিলেছে ২৫ হাজার ইয়াবার চালান। টেকনাফ টু ঢাকা যে বাস গুলো রয়েছে এদের অধিকাংশ ড্রাইভার ড্রাইভার ও হেলপারদের সম্পৃক্ত রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ থেকে পাকস্থলিতে করে ইয়াবা আনছেন এক দম্পতি। এই তথ্যে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে যান গোয়েন্দারা। পরে বাস থেকেই আটক হন রত্না বেগম ও মকবুল বেপারী। পেটে ইয়াবা বহনের কথা স্বীকারও করে তারা।
পরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে করা এক্সরেতেও মেলে এর সত্যতা। মকবুলের ৩ আর রত্নার পেটে মেলে আড়াই হাজার ইয়াবা।
তারা বলছে, এই চালান বুঝিয়ে দিলে ৫৫ হাজার টাকা পেতেন তারা। মোবাইল ফোনেই হয় সব যোগাযোগ। লেনদেনও হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।
টেকনাফ থেকে শুধু বাসযাত্রী নয়, ইয়াবা আনছে স্টাফরাও। এমন তথ্যে ফকিরাপুল কাউন্টারের সামনে গ্রীন লাইনের একটি বাসে চলানো হয় তল্লাসি। পরে উদ্ধার হয় এসির ভেতর লুকিয়ে রাখা ২৫ হাজার ইয়াবার চালান। আটক হন বাসটির এক কর্মী।
বিলাসবহুল বাসে ইয়াবার চালান আসছে, কী করছে কর্তৃপক্ষ?
গোয়েন্দারা বলছেন, অভিনব কায়দায় আনা চালান একর পর এক আটক হলেও তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। মাদক নিয়ন্ত্রণে জন-সাধারণকে যুক্ত করা গেলে পরিস্থিতির পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
গত এক সপ্তাহে ৩ চালানে সাড়ে ৫৩ হাজার ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি গুলশান বিভাগ।
Leave a Reply