মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে প্রবল জোয়ারের পানিতে উপড়ে পড়ছে গাছপালা। এছাড়া প্রবল জোয়ারের পানিতে সেন্টমার্টিনের একমাত্র জেটিটি বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তান্ডবের প্রভাবে শঙ্কিত দ্বীপের বাসিন্দারা। বিধ্বস্ত জেটিটি দিয়ে পর্যটকসহ দ্বীপের বাসিন্দারা যাতায়াত করতেন। তবে মানুষের জানমাল রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আতঙ্কে দ্বীপের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। বুধবার (২৬ মে) সকাল থেকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে। তার চেয়ে বেশি আঘাত হানছে প্রবল জোয়ারের পানি। জোয়ারের পানিতে দ্বীপের পাড়ের গাছপালা উপড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ভাঙছে রাস্তাঘাট। দ্বীপের সবাই ভয়ে আছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দ্বীপের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকের অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে। রাস্তাঘাট ভাঙছে। আর প্রবল জোয়ারের পানিতে বালিয়াড়িতে থাকা পাঁচটি ট্রলার ভেঙে গেছে। এছাড়াও প্রবল জোয়ারের পানিতে জেটিটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে দ্বীপের লোকজনক সরিয়ে নেওয়ার মত পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। যদি সংকেত ৪ নম্বর দেয়, তখন মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রবল জোয়ারের পানিতে জেটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব ধরনের ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আর ছোট ট্রলার, নৌকা ও স্পিডবোটসমূহ দ্বীপের উপকূলে নোঙর করে রাখা হয়েছে। আশা করি সবার সমন্বয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব মোকাবিলা সম্ভব হবে।
Leave a Reply