1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০২:১৪ অপরাহ্ন

টেকনাফে কচুর লতির মত গজে উঠছে ফামের্সী! রোহিঙ্গা শিশুরা বিক্রি করছে ঔষুধ 

মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ
ঔষুধ প্রশাসনের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ফামের্সীর সংখ্যা। জনগণের জীবন রক্ষা কারী ওষুধ নিয়ে ফার্মেসী গুলোতে চলছে ছিনিমিনি খেলা! অপরদিকে গলাকাটা বানিজ্য মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধের ছড়াছড়ির অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এতে মালিকের যেমনি নেয় কোন ওষুধ বিক্রয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা তেমনি দোকানের কর্মচারীদের একই অবস্থা। সে সাথে ছোট ছোট রোহিঙ্গা শিশু দের দিয়ে বিক্রি করছে ঔষুধ এর পাশাপাশি বড় বড় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে হাতুড়ে ডাক্তারের চেম্বার বসিয়ে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
এ সমস্ত ফামের্সীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও কিন্তু ঔষুধ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্হা না নেওয়ায় কারণে  এরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে গলাকাটা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।
টেকনাফ উপজেলা ও পৌর সভার হাটবাজার পরিদর্শন করে দেখা যায় ওষুধের দোকান গুলোতে ছোট ছোট শিশু দিয়ে ঔষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এদের নেই কোন অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা এমনকি অধিকাংশ মালিকের ও একই অবস্থা।
অথচ ঔষধ প্রশাসনের আইনে বলা হয়েছে যিনি ঔষধের দোকান খোলবেন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে এসএসসি পাস হতে হবে এবং তাকে ওষুধ বিষয়ে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। এর পাশাপাশি কর্মচারী ঔষধ বিক্রেতাদের ও একই বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। ঔষধের দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন ঔষধ বিক্রি বা মওজুদ রাখা যাবে না। ড্রাগ সার্টিফিকেট টাংগানো থাকবে হবে। ঔষধ বিক্রয়ের সময়ে ক্রেতাদের কে প্রতিটি ঔষধের নাম মূল্য সহ কেশ মেমো প্রধান করতে হবে। ডাক্তারের ব্যবস্তা পএ ছাড়া কোন ঔষধ বিক্রি করা যাবে না। দেশীয় ঔষধ ব্যতীত বিদেশি ঔষধ বিক্রি করা যাবে না।
উপরোক্ত নিয়ম নিতি উপেক্ষা করে টেকনাফ উপজেলা ও পৌর সভার হাটবাজার সমূহের ঔষধের দোকান গুলোতে চলছে রমরমা ব্যবসা। এ সমস্ত বেশি ভাগ ফামের্সীতে অধিক লাভের আশায় হাতুড়ে চিকিৎসক বসিয়ে জটিল, কঠিন রোগের চিকিৎসা পএ দিচ্ছে। ঐ সব হাতুড়ে ডাক্তারের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া মত প্রাতিষ্টানিক, একাডেমিক নেই কোন সার্টিফিকেট এবং অভিজ্ঞতা নেই। ফলে এদের ভূল চিকিৎসার কারণে অনেক রোগী মারাত্মক রোগাক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যু বরণ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশি ভাগ হাতুড়ে ডাক্তার কিছু দিন ঔষুধের দোকানে চাকরি করে কয়েক মাস পর ডাক্তার সেজে বসে। সূত্রে আরো আরও জানা যায়, পল্লী চিকিৎসক সমিতি থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সাটিফিকেট নিয়ে চেম্বার খুলে বসে। খোজ নিয়ে জানা যায়, এদের অধিকাংশ চিকিৎসক এসএসসি পাশ তো দুরের কথা এমনকি  জেএসসি ও পাশ করে নাই।
এছাড়া বিভিন্ন ঔষধের দোকানে সরলতার সুযোগে নিদিষ্ট মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্য নেওয়ার গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে। নিম্ন মানের কোম্পানি ঔষধ, যৌন, ঘুমের ও নেশা জাতীয় ঔষধ সহ সরকারের অনুমোদন হীন ঔষুধ বিক্রি হচ্ছে দেদারচ্ছে বিক্রয় করা হচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ঔষুধ প্রশাসন ও স্হানীয় প্রশাসনের ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা না করায় ঔষধের দোকান গুলোর এ অবস্থা বলে সচেতন মহলের অভিমত।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল জানান, অ প্রশিক্ষন প্র্যাপ্ত কম বয়সের ছোট ছোট শিশুদের মাধ্যমে ঔষধ বিক্রি করা সম্পুর্ণ বে আইনি। যারা সাটিফিকেট ধারি পল্লী চিকিৎসক তারা তো গ্রামে থাকবে। শহরে থাকার কোন অনুমতি নেই। এ অনিয়মের বিষয়ে স্হানীয় প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন ব্যবস্হা গ্রহন করবেন।

error: Content is protected !!