নিজস্ব প্রতিনিধি,টেকনাফ ৭১
টেকনাফ সাবরাংয়ের নায়াপাড়া বাজারে অবস্থানরত মানসিক রোগী জসীম অবশেষে মারা গেলো। দীর্ঘদিন যাবত নয়াপাড়ায় বাজারে দোকানের কোনায় বসবাস করতো জসীম। স্থানীয় ব্যবসায়ী রাশেদুল আলম সবসময় তাহার দেখাশোনা করত।
হঠাৎ গত ২২ তারিখ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাশেদুল আলম নয়া পাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে পাঠিয়ে দেন। ২৪-০৬-২০২১ ইং সকাল ১০:২০ মিনিটের সময় আবার অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাহার মৃত্যুর খবর রাশেদুল আলম ও মারোতের আইসিটি ও দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল,সভাপতি আবু সুফিয়ান,সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া ও জয়েন্ট সেক্রেটারী মোবারক হোসেন ভূঁইয়াকে অবহিত করা হয়। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীলের নির্দেশনা অনুযায়ী টেকনাফ মডেল থানাকে অবগত করার মাধ্যমে যথাযথভাবে দাফনের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে জয়েন্ট সেক্রেটারী মোবারক হোসেন ভূঁইয়া থানায় অবগত করলে, এসআই মোহাম্মদ রফিক এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় অফিসার ইনচার্জ টেকনাফ মডেল থানার অনুমতিক্রমে মানসিক রোগিদের তহবিল (মারোত)’র উদ্যোগে রাশেদুল আলম এর সহযোগিতায় এই মানসিক রোগির মৃত দেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
সাবরাং নয়াপাড়া বাজারের বিভিন্ন লোকজনের সহায়তায় বাজারস্থ নির্দিষ্ট কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করার সময় উপস্থিত ছিলেন মানবিক ব্যক্তি রাশেদুল আলম ,মারোতের সভাপতি আবু সুফিয়ান, উপদেষ্টা সাইফুল হাকিম, সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া,জয়েন্ট সেক্রেটারী মোবারক হোসেন ভূঁইয়া, আইসিটি ও দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী, স্থানীয় সাবেক মেম্বার নূর মোহাম্মদ, ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন সহ স্থানীয় লোকজন।
ইসলামের বিধি বিধান মেনে নয়া পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কালাম জানাজার ইমামতির মাধ্যমে এই দাফন কার্য সম্পন্ন হয় বলে হয়। এ সময় সংগঠনের নেতারা বলেন, মানুষের কল্যাণে মারোতের অগ্রযাত্রা ছিলো আছে এবং থাকবে।