হুমায়ূন রশিদ : টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫জন রোহিঙ্গা মাঝি নিখোঁজ থাকার খবর পেয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করেছে।
১১ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টারদিকে নিরাপত্তা বাহিনী এবং এপিবিএন পুলিশের যৌথবাহিনী থাইংখালীর হাকিম পাড়া ১৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-এ-৪ থেকে অপহৃত নজু মিয়ার পুত্র ও এ-ব্লকের হেড মাঝি ইউসুফ, জুলফিকার আলীর পুত্র ও বি-ব্লকের হেড মাঝি আবু মুসা এবং হারুনের রশিদের পুত্র ডি-ব্লকের হেড মাঝি শাব্বিরকে উদ্ধার করে পালংখালী নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। নিখোঁজ অপর ২জনকেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে কক্সবাজার-১৬ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম তারিক নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সকাল ১১টায় টেকনাফের ২১নং চাকমারকূল ক্যাম্পে বিশেষ সভায় যোগদান করেন ২২জন ঊনছিপ্রাং রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া নাসের হোসেনের পুত্র ও ক্যাম্পের হেড মাঝি রফিক, নজু মিয়ার পুত্র ও এ-ব্লকের হেড মাঝি ইউসুফ, জুলফিকার আলীর পুত্র ও বি-ব্লকের হেড মাঝি আবু মুসা, নুরুল হাকিমের পুত্র সি-ব্লকের হেড মাঝি আমানুল্লাহ এবং হারুনের রশিদের পুত্র ডি-ব্লকের হেড মাঝি শাব্বির বিশেষ সভায় যোগদান করে। ঐদিন দুপুর ২টায় মিটিং শেষ হলেও বাড়িতে ফিরে আসেনি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও পর্যন্ত বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের দাবী,এই ক্যাম্পটি রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী বিরোধী ক্যাম্প। এসব হেড মাঝিদের নেতৃত্বে ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে উগ্রপন্থীদের নিশ্চিহ্ন করা হয় ; তা প্রশাসন অবগত হওয়ার পরও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করেই ঝুঁকির মধ্যে মিটিংয়ে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী স্বশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা প্রতিশোধ নিতে সুযোগ বুঝে এসব হেড মাঝিদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নিখোঁজ এসব মাঝিদের অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাওয়ার জন্য সহায়তা কামনা করলে বিকালে নিরাপত্তা বাহিনী এবং এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৩জন মাঝিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও এখনো ২জন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। ###