মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী::টেকনাফ
মাদক বিরোধী অভিযান, মাদক কারবারীদের বাড়ী ভাংচুর, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পন ও বন্দুকযুদ্ধ চলমান থাকার পরও মাদক ব্যবসা ও পাচার থামানো যাচ্ছেনা। স্থল ও নৌপথে সমানতালে মাদকের চালান ঢুকছে টেকনাফ সীমান্তের আলোচিত পয়েন্ট দিয়ে। মাদক বনাম ইয়াবা একটি লাভজনক ও লোভনীয় ব্যবসা।
যে ব্যবসা করলে রাতারাতি কোটিপতি বনে যায়, সে ব্যবসায় এখন বেশীরভাগ জড়িত যুব সমাজ। বাংলাদেশে ইয়াবা তথা মাদকের প্রচুর চাহিদা ও যোগান থাকায় মাদক ব্যবসাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুবসমাজ এ পেশার সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে। টেকনাফ সীমান্ত নিয়োজিত বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযান এবং বন্দুকযুদ্ধ চলমান থাকার পরও কেন? মাদক ব্যবসা ও পাচার নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা, তাই নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন। অনুসন্ধান এবং দীর্ঘদিনের চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযানের অতীত ও বর্তমান আলোকে পর্যালোচনা করে জানা যায়, দুদেশের তথা বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের উচ্চ পর্যায়ে শুধু মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসতে হবে এবং মাদক প্রতিরোধে দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ে জিরোট্রলারেন্স এবং সীমান্তের সৎ ও দেশ প্রেমিক আইন শৃংখলা বাহিনীকে নিয়োগ দিয়ে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভব। অন্যতায় সাপ মেরে লেজে প্রাণ রাখা নামান্তর। অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে আইন শৃংখলা বাহিনীদের হাতে মাদক দমন যতই আধুনিক অস্ত্র এবং পযৌক্তি গত সরঞ্জান দেয়া ইউক না কেন? যতদিন তাদের মনোবল শক্ত না হবে ততদিন মাদক দমন ও প্রতিরোধ আদৌ সম্ভব নয়। বলে মাঠ পর্যায়ে এ তথ্য ভেসে উঠেছে। সর্বোপরী এ নিয়ে জনগণের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রারম্ভে মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসা ও পাচার জিরোতে এসেছিল। কিন্তু হঠাৎ মিয়ানমার থেকে ঐ সময়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটার পর থেকে মাদক ব্যবসা পাচার ও অপরাধ কর্ম বৃর্দ্দি পেয়ে আসছে। এর সাথে বেশীর ভাগ রোহিঙ্গারা জড়িত থাকলেও স্থানীয়রা ওদের আশ্রয় ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। আজ এমন তথ্য অনেকের মূখে মূখে। উখিয়া টেকনাফ সীমান্তে ২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রায় পৌনে ১২ লাখ রোহিঙ্গা শকনার্থী মর্যদায় বসবাস করছে এবং যাদের একমাত্র নির্ভর মাদক ব্যবসা ও মানব পাচার।
এসব ক্যাম্প গুলো আজ মাদক ও অস্ত্রের সর্গরাজ্যে পরিনত হয়ে এখন স্থানীয়রা আজ তাদের হাতে জিম্মি। হত্যা, গুম, ডাকাতী, অপহরন, নারী পাচার সহ নানা অপরাধ প্ররনতা বৃর্দ্ধি পাওয়ায়, উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত উপজেলায় ৬ লাখ স্থানীয় জনসাধারণ প্রতিনিয়তই জানমালের নিরাপত্তার অভাবে ভোগছে। এদিকে রোহিঙ্গা ও মাদকের উৎপাতে অনেকেই এলাকা ছাড়া হয়ে অন্যত্র বসবাস নিরাপদ মনে করে চলে যাচ্ছেন। সামান্য তুচ্ছ ঘঠনা নিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মাদক ব্যবহার করা হচ্ছে। যা নিয়ে অনেকেই আতংকে জীবন যাপন করছে।
Leave a Reply