২০ সেপ্টেম্বর (রোববার) সকালে এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে কর্মরত মিডিয়া কর্মকর্তা লে.কমান্ডার এম হায়াত ইবনে সিদ্দিক।
তিনি জানান,মিয়ানমার থেকে ট্রলার যোগে বৃহৎ একটি ইয়াবার চালান বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম করেছে এমন তথ্য অনুযায়ী,
শনিবার দিবাগত গভীর রাতে টেকনাফে কর্মরত স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার আমিরুল হকের নেতৃত্বে কোস্টগার্ড সদস্যদের একটি দল সাগরের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নেয় কোস্টগার্ড সদস্যরা। টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল বরাবর উত্তর-
পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ২৫/৩০ ন্যটিক্যাল মাইল দূরে একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পায় । এরপর ট্রলাটিকে দাঁড়ানোর জন্য সংকেত দেয়।
কিন্তু ইয়াবা পাচারে জড়িত অপরাধীরা সংকেত অমান্য করে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তৎপর কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের দাওয়া করে ট্রলারে থাকা ইয়াবা পাচারে জড়িত সাত জন অপরাধীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এদের মধ্যে ছয় জন বাংলাদেশী ও একজন রোহিঙ্গা। তারা হচ্ছে টেকনাফের খুইল্লা মিয়ার ছেলে মোহররম আলী (৪৪), ফয়সল আহমদের ছেলে আব্দুল শুক্কুর (২৬) , দুধু মিয়ার ছেলে আমান উল্লাহ (২৮), রশিদ আহমেদের ছেলে নুরুল আলম (৩৮), মৃত আবু তালেবের ছেলে আব্দুল মোন্নাফ (৩৫) , আবুল হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩৩) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত জামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল পেঠান (২২)।
এরপর মাদক বহনে ব্যবহার হওয়া ট্রলারে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল ২৫ লাখ টাক।
তিনি আরো বলেন মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করার জন্য গভীর সাগর এবং উপকুলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ইয়াবাসহ আটক মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করার জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply