আশেখ উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ
টেকনাফ রেঞ্জের মুছনী বনবিট সহ অন্যান্য বনবিটে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সুফল প্রকল্প বনায়নের নামে ভিলেজার ও অসহায় পরিবারের আয়বর্ধক সৃজিত বাগান উচ্ছেদ আতংকে রয়েছে। টেকনাফ বন কর্তৃপক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসন চালিয়ে ভ’মিহীন হতদরিদ্র অসহায় পরিবারের দীর্ঘকালের বসত ভিটা এবং পানের বরজ, আম, পেয়ারা, সবজি ও ধান চাষ উপযোগী জায়গায় বনায়ন সুফল প্রকল্পের নামে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দমদমিয়াস্থ ন্যাচার পার্ক জাম বাগানের বন পাহারা দলের সদস্য, মোঃ হোছাইন ও মোঃ হাছান দু’সহোদর সমাজিক বনায়নের অংশীদার এবং দীর্ঘ বছর ধরে তাদের পূর্বপুরুষ ও ওয়ালি ওয়ারিশগণ বসবাস করে আসছে।
জীবন জীবিকা ও আয় বর্ধনে বিভিন্ন চাষাবাদ করে আসছে। তাদের পিতা মৃত আবদুল খালেকও একজন ভিলেজার ছিলেন। তার দু’সন্তান ও ভিলেজার হিসাবে রয়েছে। সম্প্রতি বন কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা শ্রমিক নিয়োজিত করে তাদের পানবরজ ও বিভিন্ন সবজি বাগান নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ করেছে তারা। আরো অভিযোগ করে বলেন, বনায়নের নামে ৪ শতাধিক বনের বৃক্ষ কেটে ধ্বংস করে ফেলে। এমতাবস্থায় আয়ের অন্য কোন উৎস না থাকায় পরিবার পরিজনের জিবিকা নির্বাহের পথ বন্ধ হয়ে এখন পথে বসেছে ওরা। এনিয়ে বনের আশ্রিত স্থানীয়রা উচ্ছেদ আতংকে ভোগছে। অথচ পাহাড়ের শত শত একর জমি এখনো অনাবাদি রয়েছে, এবং বনভূমিতে রোহিঙ্গা নাগরিকরা বসবাস করতে পারলেও কিন্তু স্থানীয় নাগরিকরা সে সুযোগ হতে বঞ্চিত। বন প্রহরী বাহার মুন্সি গত গ্রীষ্ম কালে তাদের কাছে দু’লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। হতদরিদ্র অসহায় পরিবারের সদস্যরা তাকে কোনমতে ১০ হাজার টাকা আদায় করে। এর পর গত ১০ অক্টোবর পুনঃরায় বাহার মুন্সী টাকা দাবী করিলে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে অভিযোগকারীরা। দাবীকৃত টাকা না পেয়ে রোহিঙ্গা অজ্ঞাত রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে তাহাদের সৃজিত বাগান ধ্বংস করেে ফলে। এর পরও তাদের ক্ষুদা বাণিজ্য কমছে না। এ ব্যাপারে বনের স্থানীয় বসবাসকারী পাহারাদল বন কর্তৃপক্ষের এহেন আচরনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে উল্টো ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন মামলায় জড়িত করার হুমকি দেয়। এসব হুমকির মুখে দিনাতিপাত করছে। বর্তমানে তারা জিবিকা হারিয়ে পথে বসার উপক্রম রয়েছে। ভোক্তভোগী পরিবার কর্তৃক প্রতিকার চেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগ বরাবর উত্তর দমদমিয়ার মোঃ হোছন ও মোঃ হাছন, বনপ্রজার জালাল আহমদ, বনপ্রহরী মুছনী বিট এর বাহার মুন্সীসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছে।
এবিষয়ে স্থানীয় রেঞ্জ অফিসার সৈয়দ আশিক আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, উচ্ছেদ অভিযান চলমান প্রক্রিয়া এবং বনও বাগানের স্বার্থে সুফল বনায়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ অভিযোগটি মিথ্যা বলেও দাবী করেন।
Leave a Reply