টেকনাফ একাত্তর ডেস্ক,
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের সংখ্যা ততই বাড়ছে। নির্বাচন আসলে প্রার্থী এলাকার উন্নয়ন করবে বলে প্রতিবার নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
টেকনাফ পৌরসভা যার আয়তন ৫০২৭.৪ প্রতিবর্গ কিলোমিটার ধরতে গেলে ছোট্ট পৌরসভাটার উন্নয়নের ধারপ্রান্তে নেই?পৌর এলাকায় মেইন সড়কটা কয়েক বছর ধরে ভেঙ্গে গেছে”গর্তে ভরা সড়কে গাড়ি চলছে ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। সড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই সড়কের কারণে প্রতিনিয়ত আমাদেরকে ভুগান্তিতে পড়তে হয়” চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার তো দুরের কথা করবে বলে আশা ও দেয় না”” এই সড়কটা কি পৌরসভার অন্তরভুক্তে পড়ে না? অপরিষ্কার রাস্তা” অলিতে–গলিতে ছড়িয়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা। ড্রেনের গন্ধ, রাতে মশার উপদ্রব। একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা হয়।পৌরসভা জুড়ে ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য। সব মিলিয়ে পৌর এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা নেই। নেই পৌর নাগরিকদের বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা, শিশুদের জন্য নেই কোনো শিশুপার্ক। ধরতে গেলে আমরা বিভিন্ন ধরণের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।
দুঃখজনক হলেও সত্যি এখানে উন্নয়নের ছোঁয়া দূরের কথা, পৌরসভায় কোন জায়গায় দাঁড়াবার পরিবেশও নেই। প্রতিবারই তো প্রার্থী দেখে শুনেই ভোট দেয়া হয়। এবার যাকে ভোট দিলে পৌর এলাকার উন্নয়ন হবে তাকেই আমরা ভোট দেবো” বিবেককে জাগ্রত রেখে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য পৌরসভার সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই?
লেখক; আহমদ বিন শফি
টেকনাফ -কক্সবাজার।
Leave a Reply