বিশেষ প্রতিবেদক,টেকনাফ
নাগরিক সনদ প্রনয়নের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগনের জন্য সরকারি সেবা প্রাপ্তি সহজতর করা এবং সেবার মানোন্নয়ন করা।
সিটিজেন চার্টার হচ্ছে সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রণীত এমন একটি দলিল বা ঘোষনাপত্র যাতে উক্ত সেবা প্রদানকরারী প্রতিষ্ঠান কাদের কি ধরণের সেবা প্রদান করবে, কি পরিমাণ প্রদান করবে, কত সময়ের মধ্যে প্রদান করবে, কোন ধরণের সেবা পেতে কি পরিমান খরচ হবে এবং যথাযথভাবে সেবা না পেলে তার প্রতিকারের জন্য জনগন কোথায় ও কি প্রক্রিয়ায় অভিযোগ দাখিল করবে তার বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু কতিপয় দুর্নীতিবাজ অসাধু কর্মকর্তা সিটিজেন চার্টার লুকিয়ে রেখে জনগণ অর্থ হাতিয়ে নিতে মরিয়া।
(২৪ এপ্রিল) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফ উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে সিটিজেন চার্টার দরজার ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সিটিজেন চার্টার বিষয়ে জানতে চাইলে।
উপজেলা সমবায় অফিসের অফিস সহায়ক ওসমান গনি জানান, আমরা এরকম রাখি যে, তোমাদের ক্ষমতা তাকলে নিউজ কর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই ওসমান গনি সেই দীর্ঘ দুই যুগ ধরে বহাল তবিয়তে অফিস সহায়কের দ্বায়িত্ব পালন করে আসছে টেকনাফ সমবায় অফিসে, সেই বিভিন্ন সংগঠন থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সমবায়ের রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দিয়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন, তার একটি বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে ওসমানে টাকা দিয়ে টেকনাফ স্থল বন্দরে বৈধ ব্যবসার নামে অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে তার সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে ওসমান গনি। টাকার সব জোগান দেন তিনি। তার সিন্ডিকেটর বাকি সদস্যরা হলেন, সাবরাংয়ের মৌলবী আব্দুল জলিল ও শাহপরীর দ্বীপের আবু ছৈয়দ বলে সুত্রে জানা গেছে।
এ সময় ওসমান গনি কে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসা করা অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন মহল। তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান জরুরী বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শ্যামল বড়ুয়া সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে অবগত নয়, তবে অভিযোগের বিষয় গুলো খতিয়ে দেখে হচ্ছে এবং বিষয় গুলো আপনারা জেলা সমাজ সেবা কর্মাকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply