শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ কক্সবাজার
একদিকে পবিত্র রমজান অপর দিকে মায়ানমারের আভ্যন্তরীণ যুদ্ধের ফলে সেশে ব্যাপকারে খাদ্যসংকট সৃষ্টি হয়েছেে বলে খবর পাওয়া গেছে। আরএ সংবাদকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি বসবাস কারী কিছু চোরা কারবারী সিন্ডিকেট রাতের আধারে সীমান্ত প্রশাসনের চোখ ফাঁকিদিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী চাল,চিনি, সেমাই,ডিজেল,অকটেন,ভোজ্যতেল, সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পাচার করে যাচ্ছে। আর ওপার থেকে নিয়ে আসছে মাদকদ্রব্যও ইয়াবা ট্যানলেট। যার কারণে বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি হয়ে দিন দিন বাজার মুল্য আগুনের ফুলকির মত বৃদ্ধি পাচ্ছে,ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো চরমভাবে বিপাকে পড়েছে।
এসব অপকর্মে হ্নীলার জালিয়া পাড়া, চৌধুরী পাড়া, রংগীখালী সহ দক্ষিণ পাশ থেকে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করছে নাটমুরাপাড়া এলাকার মুহাম্মসালামের ছেলে কামাল হোসেন (১৯), চৌধুরী পাড়ার মংবুসীর মেয়ের জামাই মায়ামার নাগরিক মংরুসী প্রকাশ মরুসী(২৫), রঙ্গীখালী লামার পাড়া এলাকার নুরমোহাম্মদের ছেলে রাসেল(২২), মমতাজের ছেলে দিল মোহাম্মদ(২১) চৌধুরীর পাড়ার বাছিংপ্রকাশ বাসি(২৪) লেপ্রুর জামাই মংগে (৩০) সহ আরো নাম না জানা অনেকে।
গোদাম পাড়া, সাইড পাড়া, ওয়াব্রাং ও মৌলভীবাজার সহ উত্তরে নিয়ন্ত্রণ করছে বার্মাইয়া রফিকের রেখে যাওয়া শীর্ষ হোয়াকব্রাং সাইড পাড়া এলাকার কবির হাজীর ছেলে হামিদ হোছন(২৫) আব্দুর রহমানের ছেলে ফরিদ আলম প্রকাশ ফরিদনুর(৪০) আব্দুর রহমানের জাফর আলম(৩৫) বদিআলম পিতাঃ অজ্ঞাত, মোঃ রফিক প্রকাশ লালু পিতাঃ অজ্ঞাত, নুরআলমের ছেলে আবছার (২২) হোসেন আহমদ পিতাঃঅজ্ঞাত,শাব্বির আহমদের ছেলে গুরামিয়া প্রকাশ গুরাইয়া(২৩),সোলতান আহমদের ছেলে হেলালউদ্দীন(২৫) ও বাছামিয়ার ছেলে হোসেন আহম্মদ(২৭) কালামিয়ার ছেলে সোনামিয়া প্রকাশ সোনা ভাই ও ছৈয়দ আলমের ছেলে আবুল কাশেম (৩৪)সহ আরো নাম নাজানা অনেকে রয়েছে।
এদিকে এসমস্ত চোরা কারবারিদের কারণে আজকে টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী ও নিম্নবিত্তও মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর হাতের নাগালের বাইরে।
অন্যদিকে ওপার থেকে মাদকের চালান এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়ে দেশ টি কে মাদকের অঙ্গরাজ্য বানাতে মরিয়া হয়ে কাজ করলেও কোন অদৃশ্য শক্তির বলে তারা আজ এসব অপকর্ম করছে এলাকাবাসীকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে।
এছাড়াও প্রতিরাতে মোটাংকের বিনিময়ে রাখাইন পল্লী কেন্দ্রীক আদম তুলে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেয় এচক্র। বিশেষ করে তারা রাখাইন আদম উল্লেখযোগ্য ভাবে নিয়ে আসছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোক্ত কয়েক জনের কাছে জানতে এলাকায় যাওয়া হলেও সাংবাদিক দেখে গা ডাকা দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সীমান্ত প্রশাসন সহ র্যাব,পুলিশ, ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা কামনা করেছেন এলাকাবাসী। ###( চলবেই—–
Leave a Reply