নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
কক্সবাজার টেকনাফের কৃতি সন্তান ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, সি এস সিআর হসপিটালের নির্বাহী পরিচালক,হ্নীলা গুলফরাজ হাশেম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ডাঃ জামাল আহমদের স্মরণ সভাও ফাউন্ডেশনের বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ ছাত্রীদের বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) বিকালে ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি ও সাবেক মেম্বার ছালেহ আহমদের সভাপতিত্বে এবং কায়সার উদ্দীন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডঃ সিরাজুল মোস্তফা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী- কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেকউল্লাহ রফিক, উখিয়া টেকনাফের সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি, কক্সজাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম ইউনুছ বাঙ্গালী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রয়াত ডা. জামাল আহমদের একমাত্র সন্তান গুহাফার বর্তমান সম্পাদক ডাঃ সালাহউদ্দিন জামাল।
এসময় উক্ত সভায় ,টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোরশেদ সহ এলাকার সমাজ সেবক,শিক্ষানুরাগী,গুনীজন ব্যক্তিত্ব, ছাত্র/ ছাত্রী ও সূশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডঃ সিরাজুল মোস্তফা বলেছেন, মানব সেবার একমাত্র সহজ মাধ্যম হচ্ছে ডাক্তারী পেশা, এই পেশার মধ্যদিয়ে ডাক্তাররা চাইলে সমাজের সর্ব শ্রেণী পেশার মানুষ কে সেবা দিতে পারে। যেটা ডাক্তার জামাল আহমদ ইতিমধ্যেই দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। ডাঃ জামাল এলাকার জন্য আলোকবর্তিকা উল্লেখ করে প্রধান অতিথি আরও বলেন, তিনি চাইলে জনসেবামূলক এই কর্ম বেছে না নিয়ে নিজের সম্পদ অর্জন করার জন্য আত্মনিয়োগ করতে পারতেন। কিন্তুু তিনি তা না করে উল্টো তার অর্জিত সম্পদ দিয়ে মানব সেবার মত কাজকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বিশেষ অতিথি আশেক উল্লাহ রফিক (এমপি) বলেছেন, সমাজ সেবার জন্য একজন ডাক্তারের ভুমিকা সমাজে অতুলনীয়, তাই ডাঃ জামালের রেখে যাওয়া এই প্রতিষ্ঠান কে এলাকার সকলে মিলে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। সমাজের অবহেলিত যুবকদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে যে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য তৈরি করেছেন তা সত্যি অতুলনীয়ও পরড়উপকারী।
উখিয়া- টেকনাফের সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি বলেছেন, ডাঃ জামাল আহমেদ আমাদের সবাইকে ফেলে চলে গেছে, কিন্তুু তিনি তাঁর রেখে যাওয়া কর্মময় জীবনের মধ্যে আমাদের জন্য অনেক কিছু রেখে গেছেন, তাঁর রেখে যাওয়া সকল প্রতিষ্ঠান গুলো বাঁচিয়ে রাখা আপনার – আমার সকলের দায়িত্ব।তাই ডাঃ জামাল আহমেদের এক মাত্র সন্তান ডাঃ সালাহউদ্দিন জামালের সাথে আমি একাত্বতা ঘোষনা করে এই প্রতিষ্ঠান কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যা যা করতে হবে তাই করে যাব ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন স্কুল – মাদ্রাসা থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ সহায়তাপ্রদানের পাশাপাশি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সমাপ্ত কারী যুবকদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
Leave a Reply