1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করতে টেকনাফে সুশীলনের প্রদর্শনী মেলা টেকনাফ তুলাতুলি ঘাট থেকে ১৮০ হাজার ই’য়া’বা জব্দ  ইউএনও’র অনুমতিপত্র জা/লি/য়া/তি করে মিয়ানমারে নির্মাণ সামগ্রী পাচার’ শীর্ষক সংবাদের একাংশের তীব্র প্র/তি/বা/দ টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, রোগীদের ভোগান্তি চরমে কক্সবাজারে বিজিবি সিও’র ইয়াবা ভাগাভাগি প্রধান উপদেষ্টার নিকট টেকনাফের সায়েম সিকদারের খোলা চিঠি ‎হ্নীলায় টমটম চলকের নি’খোঁ’জ ম’র’দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চলছে তর্কের লড়াই নয়া ফরম্যাটে হবে বিএনপির পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি স্থানীয় ও দেশিয় লবণ চাষিদের বৈষম্য করা হলে জুলাই / আগস্টের বিপ্লবের কি প্রয়োজন ছিল- মানববন্ধনে বক্তারা যৌথ অভিযানে ৪০ হাজার ইয়াবা সহ আটক ৬ পাচারকারী

প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখা ও প্রতিবাদ

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখা ও প্রতিবাদ

গেলো ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক আমাদের কক্সবাজার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান সংবাদে আমার নাম দেখে আমি বিস্মিত ও হতবাক। প্রতিবেদনটি পড়ে আমার মনে হয়েছে এটি মনগড়া এবং শত্রুপক্ষের ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। যার শিকার হয়েছি আমার মতো একজন ব্যবসায়ী। তাই আমি প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি আমার বক্তব্য নিম্নরুপ।

প্রতিবেদনটির ব্যাপারে আমার বক্তব্য হচ্ছে, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্যের মধ্যে সাবেক সংসদ-সদস্য আবদুর রহমান বদির ভগ্নিপতি ছাড়া আর কোন তথ্যই সঠিক নয়। প্রতিবেদনে আমাকে মাদক কারবারি, অস্ত্র ব্যবসায়ী, মানব পাচারকারী, স্বর্ণ চোরাচালানি, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগী, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠির সাথে সংযোগ রক্ষাকারী, শুল্ক ফাঁকিবাজ বলা হয়েছে। যা শুধু মিথ্যাই নয়, আমার মতো একজন ব্যবসায়ীর জন্য মর্যাদা হানিকরও বটে। প্রতিবেদক প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে আমার সঙ্গে কথা বলে বক্তব্য নেয়ারও চেষ্টা করেননি।

প্রতিবেদনের এক স্থানে আমার নামোল্লেখ করে লেখা হয়েছে, আমি টেকনাফ স্থল বন্দর থাকা সত্বেও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে রিচ কফি, ক্যালসিয়াম, সুপারি, ও মিয়ানমারের বাঁশ চোরাই পথে বাংলাদেশে নিয়ে আসি। হুন্ডি ও সিএন্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে আব্দুর রহমান বদির পার্টনার ও ভগ্নিপতি ফারুক। বদির সিন্ডিকেটের কালো টাকা সাদা করার জন্য সিএন্ডএফ ড্রাফট ব্যবহার করে মিয়ানমারের বাণিজ্য মালামালের জন্য পাচার করি। গত ১৬ বছর ধরে এবি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করতাম। এছাড়াও বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুর রহমান বদি’র স্ত্রী শাহীন আক্তার বদিকে দলীয় মনোনয়ন পাইয়ে দিতে ২ কোটি টাকা দেই।

এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য হচ্ছে, আব্দুর রহমান বদির সঙ্গে আমার সম্পর্কের বিষয়ে উপরে উল্লেখ করেছি। এর বাইরে আমাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। আমি টেকনাফের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। পৈত্রিকভাবেই আমি বিপুল সম্পত্তির মালিক। বাংলাদেশ সরকারকে নিয়মিত কর দিয়ে টেকনাফ স্থল বন্দরে বৈধভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছি। যার ফলস্বরূপ বিগত ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে পরপর দুইবার কক্সবাজার জেলার সেরা করদাতা হিসেবে সিআইপি নির্বাচিত হই। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে টেকনাফ স্থল বন্দরে ব্যবসা শুরু করি। পাশাপাশি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত হই। বর্তমানে আমি টেকনাফ স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন এর সিনিয়র সহ-সভাপতি। বর্তমানেও আমি মিয়ানমারে নিয়মিত বৈধ পণ্য আমদানি- রপ্তানি করে আসছি। মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের সাথে সম্পর্ক থাকলে যা কোনভাবেই সম্ভব হতো না। দিন-রাত কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত টাকা আমি ভোগ-বিলাসে ব্যয় করি না। সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করি। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা, এতিমখানা, দরিদ্রদের চিকিৎসা সহায়তা এবং বিয়েতে যথাসাধ্য সহযোগিতা করি।

এই ধরনের সংবাদ শুধু আমাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। আমার উপর নির্ভরশীল অনেক পরিবারকে খারাপ অবস্থার দিকে ধাবিত করবে। পরিশেষে আমি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সংবাদটি পড়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার এবং সাংবাদিক ভাইদের এই ধরনের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।

প্রতিবাদকারী: ওমর ফারুক সিআইপি,

সত্ত্বাধিকারী মেসার্স ফারুক ট্রেডার্স, (আমদানি ও রপ্তানিকারক)
টেকনাফ, কক্সবাজার।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!