মোহাম্মদ তোফাইল, টেকনাফ ৭১ ।
সাবরাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। শিক্ষার্থীদের মেধা,দক্ষতা,উপস্থিত বুদ্ধি বিকাশ ও শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার জন্য শিক্ষকরা এই উদ্যোগ নিয়েছে।স্কুলের সুনাম ধরে রাখার জন্য প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে সাবরাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় শ্রেণি কক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।শিক্ষকবৃন্দ মিলে বিতর্কের বিষয় নির্ধারণ করেন ।
সম্পদের অপ্রতুলতা নয়,দুর্নীতিই দেশের উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধকতা। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করেছে,
পক্ষ দলের অংশগ্রহণকারীর নাম:(৫ ম শ্রেণির) শাহীদ, হামিদা,মোমতাহিনা,ফাইজা(দলনেতা)তাদেরকে,
সহায়ক হিসাবে ছিলেন সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শাকের,
বিপক্ষ দলের অংশগ্রহণকারীর নাম:(৫ম শ্রেণির) ফারিহা ফয়নব,তৌহিদুর ইসলাম, আশরাফুল আনিস আরাফ,রাশেদুল আমিন (দলনপতা)সহায়তা হিসেবে ছিলেন সহকারী শিক্ষক খোরশেদ আলম।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটর দায়িত্ব পালন করছেন সাবরাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জনাব আনিস উল্লাহ ,বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন ও নুরুল আলম। প্রধান শিক্ষক যখন ফলাফল ঘোষণা করছে তখন সবাই আগ্রাহ হয়ে নিরবতা পালন করছে,
প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করছেন বিপক্ষ দল। এই সময় সহায়ক শিক্ষক খোরশেদ আলম অনেক খুশি এবং কষ্ট সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছে পক্ষ দলের ফাইজা
উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অভিভাবক ও শিক্ষার্থী,বিতর্ক প্রতিযোগীরা খুব সুন্দর তথ্য দিয়ে যুক্তির মাধ্যমে বক্তব্য উপস্থাপনা করে দর্শকদের মন জয় করছে,এই সময় পক্ষ দলের ফায়জা বলেন আমাদের দেশে যদি দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যায়। সম্পদ যা আছে তা দিয়ে দেশের উন্নয়ন করা যাবে।
সে আরো উদাহরণ দিয়ে বলে,আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাকর্মীরা অতিরিক্ত দুর্নীতির করার কারণে আজকে তাদের অবস্থা এত ভয়াবহ হচ্ছে। দেশের দুর্নীতি রোধ করতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন,আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি,আমাদের শিক্ষার্থীরা এত সুন্দর করে যুক্তি উপস্থাপন করছে শুনে মন ভরে গেছে।
সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা বলেন আমাদের সময় আমরা এই ধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতা এগুলো পাই নাই, আমরা কলেজে গিয়ে পেয়েছি, তোমরা এখান থেকে পাচ্ছ,আজকে তোমরা এখানে বক্তব্য দিতেছ অন্য বছর তোমাদের ছোটরা তোমাদের জায়গায় আসবে।
সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন বলেন,আমাদের শিক্ষার্থীরা আস্তে আস্তে শিক্ষার মান বাড়িয়ে স্কুলের সুনাম অর্জন করবে।আমরা খুশি তোমার আরও অনেক বড় হবেন।
এই সময় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শাকের বলেন,আমার শিক্ষার্থীদেরকে আমি যথেষ্ট চেষ্টা করছি দর্শকদের মাঝে ভালোভাবে যুক্তি উপস্থাপন করার জন্য, আমি সফল হয়েছি তারা খুব সুন্দর ভাবে যুক্তি উপস্থাপন করেছে।
পরিশেষে সকালে বলেন,আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার জন্য যা যা করতে হবে সবাই করতে রাজি। আমাদের বিদ্যালয় হবে টেকনাফে সেরা একটা বিদ্যালয়।
Leave a Reply