উপকূলীয় সংবাদদাতা
টেকনাফের বাহারছড়া কাচ্চপিয়া এলাকায় প্রকৃত মানব পাচারকারিদের বাঁচিয়ে রাখতে বিভিন্ন সময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্থানীয় সাধারণ যুবকদের ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ফলে এলাকার মধ্যে যেকোনো সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। কচ্চপিয়া এলাকার এক যুবক জানিয়েছেন, প্রকৃত মানব পাচার কারিদের রক্ষা করে এলাকার নিরপরাধ লোকদের বিভিন্ন ভাবে ফাঁসিয়ে দেন। তিনি আরো বলেন, সালাম,আব্দুল করিম, মোঃ জসিম ও কালুদের রক্ষা করে সাধারন লোকজন কে ফাঁসিয়ে দেন নেতা আবদুল আমিন, সৈয়দুর রহমান ও দেলদুয়ার।
এর কারণ হিসেবে জানতে গিয়ে অভিযাগ কারিরা দেখেছেন, আব্দুল আমিনদের দলের পক্ষ কথা বললে বা সমর্থন করলে মানব পাচারে জড়িত ব্যক্তিরা নিরপরাধ হয়ে যায়। আর তাদের দলের বা মতের বিপক্ষে করলে সাধারণ লোকদের মানব পাচার কাজে জড়িয়ে দেবে বলে ধমক দিয়ে থাকেন। কোন কোন স্থানে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ যুবকদের ভয় দেখান। এমন অবস্থায় এলাকার সাধারণ মানুষেরা কোন প্রকার শান্তিতে থাকতে পারছেনা। এ নিয়ে কচ্ছপিয়া এলাকায় চলছে দুই দলের মধ্যে সংঘাত। যে কোন সময় এ ঘটনা নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার আগে স্থানীয়দের বা দুই দলের লোকজন বসে সামাধানের চেষ্টা করলে ভাল হবে বলে মত দিয়েছেন এলাকা বাসী।
এ বিষয়ে আব্দুল আমিনের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, কক্সবাজারে যথ সাংবাদিক আছে সকলে আমার বাড়িতে আসেন আমাকে কি ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে তা দেখে যান। মানব পাচার করতেছে বাড়ির পাশের অপরাপর লোক জন, কিন্তুু প্রশাসন ও সাংবাদিকরা এসে চেক করছে আমার বাড়ি। মানব পাচার করলেও সমস্যা, না করলে আরো সমস্যা। এখন আমি খুব কষ্টে আছি। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে স্থানীয় সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, আমাদের কচ্চপিয়াতে সাম্প্রতিক সময়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে আব্দুল আমিনের দলের পক্ষে কথা বললে অপরাধী ব্যক্তিরাও নিরপরাধ হয়ে যায়। আর বিপক্ষে গেলে নিরপরাধীরাও অপরাধী হয়ে যায়। যা আগামি নির্বাচনে তাহার দলের সদস্য ভারি করতে সুকৌশলে এমন পন্থা হাতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। উক্ত বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply