1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান হ্নীলায়একটি কৃষক পরিবার কে ডাকাত সাজিয়ে এলাকা ছাড়া করে ফায়দা লুটছে মহল বিশেষ সাংগঠনিক নির্দেশনায় জরুরি বার্তা দিল ছাত্রলীগ বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হলো বিশ্ব টেকনাফ থানায় পুরোনো কারবার ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক সিএনজি জিডিমূলে জব্দ ফেক আইডি থেকে মিথ‍্যা অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আমিনুর রহমান টেকনাফে সোর্স পরিচয়ে অস্ত্রধারী মাদক কারবারি আয়ুব’সহ ৫ বখাটে মিলে মা-মেয়েকে গণধর্ষণ! সীমান্তে সর্ববৃহৎ মাদকের চালান লুটপাট শীর্ষক সংবাদে একাংশের ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে কোস্ট গার্ডের অভিযানে বিপুল পরিমান ইয়াবা সহ আটক ০১ পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ, রাতে মাছ শিকারে সমুদ্রে যাবে টেকনাফের জেলেরা

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১
  • ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আরাফাত সানী,টেকনাফ 

এখন সাগরের বুকজুড়ে থাকবে শুধু জেলে আর ট্রলার। সারিবদ্ধ ট্রলার আর পানিতে পানিতে জাল।

এক প্রকার সাগরের বুকজুড়ে জেলেদের মিলন মেলা ঘটবে। আবারও সরগরম হয়ে উঠবে জেলে পল্লী।

দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসবে তাজা ইলিশ মাছ সহ নানান মাছ কিনতে। বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সারিবদ্ধ থাকবে মাছবাহী ট্রাক।

আবারও ইলিশ ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠবে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কক্সবাজার টেকনাফ ফিশিং সেন্টার । ট্রলারগুলো মাছ ধরে কয়েকদিন পর ঘাটে ফিরতে শুরু করলেই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে।

মৎস্য অবতরণ এলাকার ঘাটগুলো আবার সরব হয়ে উঠেছে। যেখানে নিষেধাজ্ঞার সময় শূন্যতা বিরাজ করছিল সেখানে এখন আবার প্রাণ সঞ্চার ফিরে এসেছে। তবে এই উৎসবের মধ্যে রয়েছে করোনা আতঙ্ক। ২৩ জুলাই থেকে বৈশ্বিক মহামারি করোনার ‘লডকাউন’, এ অবস্থায় সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরে আসা জেলেদের মধ্যেও হতাশা ছাপ থাকবে বলে জানান মৎস্য সেক্টর সংশ্লিষ্টরা।

সাগরে সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্য শিকারের উপর টানা নির্ধারিত ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (২৪ জুলাই) থেকে সাগরে যাচ্ছে উপকূলীয় এলাকা সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ,বাহারছড়া সহ উপজেলা বিভিন্ন জেলেরা। শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১২টার পর থেকেই মাছ ধরা ট্রলার নিয়ে সাগরের দিকে ছুটবেন জেলেরা।

গভীর সাগরে ইলিশ পাওয়ার আশায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে দলবেধে বেরিয়ে পড়ছে জেলেরা। তাদের প্রত্যাশা নিষেধাজ্ঞার ফলে আগের চেয়ে ইলিশ বেশি ধরা পড়বে সাগরে। এর আগে, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।

সমুদ্রগামী একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার প্রাদুর্ভাবে ও ৬৫ দিনের সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা কারণে বেকার বসে থেকে ধার-দেনা করে চলতে হয়েছে সমুদ্র উপকূলীয় জেলেদের। প্রস্তুতির শেষ দিনে শুক্রবার জেলেরা নতুন করে বিনিয়োগ করে সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। জেলেরা জানিয়েছেন, করোনা প্রকোপে ধারদেনা শেষে সমুদ্রে নামার পূর্বে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সমুদ্রে নামছেন তারা।

মৎস্য বিভাগ বলছে, নিষেধাজ্ঞায় সাগর ও তার মোহনায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময় জেলেরাও মাছ ধরা থেকে বিরত ছিল। কয়েকদিন অপেক্ষা করলেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত রূপালি ইলিশ। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জেলেদের ৫৬ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। ৬৫ দিন পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হলেও আবারও নিজ পেশায় ফিরতে পেরে খুশি জেলেরা।

এ দিকে আড়ৎদাররাও তাদের আড়ৎ নতুন করে সাজিয়ে নিচ্ছেন। নতুন করে আবার ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন ইলিশ বিক্রির জন্য।

সাগরে যাত্রাকালে আব্দুর শুক্কুর, ইলিয়াস মাঝি ও নুরুল আমিন মাঝি জানান, ৬৫ দিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার পর শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে সাগরে মাছ শিকারে যাচ্ছেন তারা। ইলিশ মাছ ধরা একমাত্র পেশা হওয়ায় এতোদিন অলস সময় পার করতে হয়েছে তাদের। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছেন তারা। এখন সমুদ্রে ইলিশ ধরা পড়লে সামনের দিনগুলো ধার-দেনা পরিশোধ করতে পারবে বলে আশা তাদের।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন টেকনাফ ৭১ ডটকম কে জানান, সাগরে মাছসহ মূল্যবান প্রাণিজ সম্পদের ভাণ্ডার সুরায় চলতি বছরের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। আজ থেকে ইলিশসহ অন্য সব ধরনের মাছ শিকারে জেলেদের আর কোনো বাধা নেই।

উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি করতে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তা কেবলমাত্র চট্টগ্রামের ২৫৫টি ফিশিং বোডের জন্য বলবৎ ছিলো। পর বছর থেকে সাগরে মাছ আহরণের জন্য ব্যবহৃত যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর