1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে, সরকারী কর্মকর্তাদের পিটিয়ে কক্সবাজারের জয়নাল এখন বিরাট খল নায়ক

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রাইম প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজারের বাহারছড়ার আবুল কাশেমের পুত্র জয়নাল আবেদীন জামাত বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয় থেকে অপরাধ জগতে নিজের নাম লিখায় পাকাপোক্ত ভাবে। বর্তমানে তিনি চিহ্নিত একজন আন্ডার গ্রাউন্ড খল নায়ক। ১০ মামলার এই কুখ্যাত অপরাধী পুলিশের খাতায় কৌশল করে বিভিন্ন ঠিকানায় নাম লিখিয়েছেন নিজেকে আড়াল করতে।

অনুসন্ধানের সুত্রমতে, জামাত বিএনপির আশ্রয়ে জয়নাল নিজস্ব বাহিনী তৈরী করে চুরি, ডাকাতি, খুন, সন্ত্রাসী, মানুষকে ভয়ভীতি হত্যার প্রচেষ্টা সহ পুরো কক্সবাজার জুড়ে আতংক সৃষ্টি করে আসছিল বহু বছর ধরে। কক্সবাজারে অপরাধ জগতের খল নায়ক হিসেবে নিজেকে আখ্যা দেয় এই কুখ্যাত জয়নাল।

অনুসন্ধানের সুত্রমতে, ২০০৯ সালের ৬ ডিসেম্বর চুর হিসেবে প্রথম নিজের নাম লিখায় পুলিশের খাতায়। ঝিলংজাস্থ সমিতিপাড়ায় চুরি করার অপরাধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জয়নাল সহ আরো একাধিকের নামে ৩২৬/১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৭৯ ধারায় মামলা হয়। যার মামলা নং-১৩। জি আর নং-৭৪৪/০৯ কক্সবাজার সদর।

র্দীঘ ৪ বছর পর ২০১৪ সালে ৯ ডিসেম্বর কলাতলী ফ্রেশ ইন কুলিং কর্ণারের পার্শ্বে হোটেল তানিয়ার সামনে হত্যার অভিযোগে জয়নালের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রজু হয় যার মামলা নং-৪৬/০৯। জিআর নং-১০৬৭/১৪।

ক্রমান্বয়ে অপরাধের ধারবাহিকতায় জয়নাল বাহিনী চুরি ডাকাতি হত্যা সহ নান অপরাধ কান্ডে জড়িত হয়ে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছিল দিন দিন। পুলিশ ও তৎপর তার অপরাধ দমাতে। গত ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর গোপন সুত্রের ভিত্তিতে পুলিশ শৈবাল পয়েন্টের গোল ঘর সংলগ্ন ঝাউবনের ভিতর থেকে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে জয়নাল বাহিনীকে ধাওয়া করে তাদের কাছ থেকে ১টি চাপাতি ও ২টি ছুরি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জয়নাল বাহীনির বিরুদ্ধে ডাকাতী ও দেশীয় অস্ত্র আইনে ২টি ৩৯৯/৪০২ ও ১৯(এফ) ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা হয়। যার মামলা নং-৫৯/৯৬১ এবং ৬০/৯৬২। জয়নাল উক্ত ডাকাতী ও অস্ত্র মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।

জামাত বিএনপির এই সক্রিয় ক্যাডার জয়নাল বাহীনি ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বচনী প্রচারনা চলাকালীন পাহাড়তলী এলাকাস্থ নতুনবাজার সংলগ্ন নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও অঙ্গি সংযোগ করে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৪৩৬/৪২৭/৫০৬ ধারায় মামলা হয়। যার মামলা নং-৯০/১১০৮ ।

মামলা হয়, জেল হয়, জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো শুরু জয়নালের অপরাধ কর্মকান্ড। ২০১৯ সালের ২৯ জুন ঝিলংজা ইউনিয়নের জানার ঘোনা নতুন মেডিকেল গেইটের সামনে ডাকাতির প্রস্তুতির কালে পুলিশ ধাওয়া করলে জয়নাল বাহিনীর কাছ থেকে ১টি রাম দা, ৪টি ছোরা, ৪টি লোহার রড, ৮টি মুখোশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জয়নাল বাহিনীর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রজু হয়। যার মামলা নাম্বার দ্বয়- ১১০/৭২৭ এবং ১১১/৭২৮ ।

সন্ত্রাসী জয়নাল ২০১৯ সালের ২৮ আগষ্ট হলিডের মোড়ে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রাস্তার উপর ডাকাতি করার লক্ষ্যে জনমনে আতংক ও ত্রাস সৃষ্টি করে ২৭ হাজার টাকা ছিনিেিয় নেয়। এর অপরাধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দ্রæত বিচার আইনে মামলা হয়। যার মামলা নং- ১০০/৯৩৪।

একাধিক ডাকাতির মামলার আসামী জয়নাল গত ২০২০ সালের ৩০ মে বিজিবি ক্যাম্প এলাকাস্থ আমগাছতলায় রাস্তার উপর ডাকাতির কালে পুলিশ জয়নাল বাহিনীকে ধাওয়া করলে তাদের কাছ থেকে ৫টি ছোরা ও ৫টি মুখোশ উদ্ধার করে। এই ডাকাতির ঘটনায় জয়নাল বাহিনীর বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা হয় যার মামলরা নং-৮১/৪২৯।

সরকারী কর্মকর্তারা ও এই জয়নাল বাহিনীরর হাত থেকে রক্ষা পাইনি। সুত্রমতে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর সুগন্ধা বীচ পয়েন্ট এলাকায় সরকারী বাড়াটিয়া গুন্ডা হিসেবে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধর করে সরকারী কাজে বাধা প্রদান করে। এই ঘটনায় জয়নাল বাহিনীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ১৪৩/১৪৮/১৪৯/১৫০/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৪২৭/১১৪ ধারায় মামলা হয়। যার মামলা নং-৪২/৭৭৬।

জামায়াত বিএনপির এই ক্যাডার শুরুতে দুর্দষ চোর হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করার পর ক্রমান্বয়ে ডাকাত, সন্ত্রাসী, খুনি এবং সর্বশেষ নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে, সরকারী কাজে বাধাগ্রস্ত করে এখনো কিভাবে কক্সবাজার চষে বেড়াচ্ছেন তা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন রেখে গেছেন কক্সবাজারের সচেত মহল।

সূত্র -দৈনিক আলোকিত উখিয়া

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর