1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

টেকনাফ সদর,বাহারছড়া,সাবরাং এখন মালয়েশিয়া মানব পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট -Teknaf 71

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২
  • ৪৪০ বার পড়া হয়েছে

পর্ব-১

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, টেকনাফ ৭১

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলার টেকনাফ উপজেলা মালেশিয়া যাওয়ার ট্রানজিট পয়েন্ট টেকনাফ সদর ও বাহারছড়া এবং সাবরাং ইউনিয়নের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা। বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া ফিশারী ঘাট হতে মহেশ খালীয়া পাড়া থেকে খুরের মুখ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় আদম পাচারের নিরাপদ রুটে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে আগত বাংলাদেশে অবস্থান রত শত-শত রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ বোট দিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে মালেয়শিয়ায়।

এ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বিশাল একটি অসাধু দালাল চক্র। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় , দিনের বেলায় বিভিন্ন কলাকৌশলের মাধ্যমে দালালেরা ছোট ছোট গাড়ী যোগে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প ও টেকনাফ উপজেলার উনছি প্রাং,লেদা ও মোচনী রোহিঙ্গা বিভিন্ন শরনার্থী ক্যাম্প থেকে লোকজন এনে সদর ও বাহার ছড়া সাবরং ইউনিয়নের সমুদ্র উপকূল বর্তী এলাকায় ও পাহাড়ের জঙ্গলে এনে জড়ো করে রাখে। সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে ছোট ছোট নৌকার মাধ্যমে বাংলাদেশে মিয়ানমার জলসীমা এলাকায় অবস্হানরত টলারে মালেয়শিয়ায় গামী লোকজন উঠানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যা ভোর রাত পর্যন্ত চলে।

মালেযশিয়ায় পাঠানো কয়েক জনের আত্মীয় স্বজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, ছোট ছোট নৌকা করে বড় ট্রলারে উঠিয়ে দিতে প্রতিজনের বিপরিতে গুনতে হয় ২৫ হাজার টাকা। আবার বড় ট্রলারে করে মালেয়শিয়ায় পৌঁছানোর আগেই দিতে হয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বড় ট্রলারে এক মাস হতে ২ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় বলে তারা জানান ।এই মালেয়শিয়ায় মানব পাচারে যারা জড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সুত্র অনুযায়ী তারা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালিয়া পাড়া এলাকা ও তুলাতলি ও অন্যান্য এলাকার দালালেরা হলেন, মোঃ রিয়াজ, পেঠান মাঝি, আবদুর রশিদ মাঝি, মোঃতাহের মাঝি, এনাম মাঝি পিতা হারুন নতুন পল্লান পাড়া, গুরা পুতু তুলাতলি, বশর, অলি হোছন, মোহামদুল হক, মোঃরফিক (বার্মাইয়া) আজিজুল হক, মোঃজসিম, শফিক, সাবরাং কঁচুবনিয়া এলাকার বন্দুক যুদ্ধ নিহত নজির আহমদ ডাকাতের ভাই শীর্ষ মানব পাচারকারী আজিম উল্লাহ, গুরা মিয়া, হামিদ মাঝি, সাদ্দাম, বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়া শীর্ষ মানব পাচারকারী নছরত আলী ছেলে আব্দুল আলিম, আবুল আলম এর ছেলে জয়নাল, আমিন মেম্বারের ছেলে জাংগীর আলমসহ ডজন -ডজন দালাল এ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। এক কথায় বলতে গেলে এখন টেকনাফ সমুদ্র উপকূল মালেয়শিয়ায় মানব পাচারের আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে পরিনত হয়েছে ।

এ ছাড়া ও সাবরাং শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন এলাকায় চলছে নিরবে মানব পাচার বলে স্থানীয় লোকজন জানান। এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সু-নিদিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সু-নিদিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে এবং মানব পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর