আরাফাত সানি,মিজানুর রহমান, সাইফুল ইসলাম : টেকনাফ
টেকনাফ সদরের মহেশ খালীয়া পাড়া মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সাগর উপকূলের বিভিন্ন ঘাট দিয়ে সন্ধ্যা নামতেই মানবপাচার ও ইয়াবা হিড়িক চলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারী জুরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উক্ত পাচারের মূল হোতা হলেন ইয়াছিন। তাদের সহযোগীতায় রয়েছে স্থানীয় একটি বিশাল সিন্ডিকেট, তাদের রয়েছে অবৈধ অস্ত্র, দা, কিরিচ ইত্যাদি।
এই ইয়াসিন কে আইনের আওতায় আনা হলে টেকনাফের মানব পাচারের জানা অজানা সব সত্য সহ উক্ত সিন্ডিকেটে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসবে। এই ইয়াছিন গেল কয়েক মাসের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকা ও নামে-বেনামে সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী অভিযোগ। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলেন না। কারণ তাদের অবৈধ অস্ত্র রয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত অতি শীঘ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হোক, না হয় টেকনাফ সদর উপকূলে মানব পাচার ও ইয়াবা ব্যবসাা বন্ধ হবে না।
টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ গত (২৬ মে) উপজেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় বলেন, আমার টেকনাফ সদরের বিভিন্ন জেলে ঘাট হয়ে মানব পাচার হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন আমাকে অবগত করেছে। আমি উক্ত মানব পাচারে জড়িতদের চিহ্নিত করে একটি তালিকা তৈরি করে আমি সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেব। এবং আপনারা কেউ চাইলে আমি দেব। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সহযোগিতা কামনা করছি।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, মানব পাচারকারীরা যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো, আমাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আমরা অভিযান পরিচালনা করব। আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply