1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও মানুষ বৈষম্যের শিকার: টেকনাফের বিজয় সমাবেশে অধ্যক্ষ আনোয়ারী টেকনাফ প্রেসক্লাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত টেকনাফে ৩১বার তুপ ধ্বনি ও শহীদ মিনারে ফুলদিয়ে শহীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হল বিজয় দিবসের কার্যক্রম মুক্তি ককসবাজার কর্তৃক মার্কেট লিংকেজ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের দৃষ্টি নন্দন মসজিদের উদ্বোধন করেছেন টেকনাফ ইউএনও, মোঃ ইমামুল হাফিজ নাদিম মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা শ্রমিকদলের সাঃ সম্পাদক মুন্না ভারতে পা’লিয়ে সেলফি পাঠিয়েছেন হাদির ওপর হা’মলাকারী: সায়ের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেন টেকনাফের আব্দুল্লাহ ছেলে মেধাবী ছাত্র আব্দুল হাফেজ এবার ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িতে চু’রি বিশ্ববিদ্যালয়ে পডুয়া শিক্ষার্থীদের চোখে আগামীর জন্মভূমি ‘সীমান্তের হাওয়ায় ভেসে আসছে নতুন স্বপ্ন’

যে তিন শর্তে স্বদেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬২৯ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আরাফাত সানি, টেকনাফ।
মিয়ানমারের আরকানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেদেশের সেনা কর্তৃক হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের ৬ বছর পূর্ণ হওয়ায় ২৫ আগস্টকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।
এ উপলক্ষে টেকনাফের নায়াপাড়া শালবন ২৬ নং ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা (২৫ আগস্ট) শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ক্যাম্প ইনচার্জ অফিস সম্মুখ মাঠে প্রবল বর্ষণ উপেক্ষা করে গণহত্যার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে।
এ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা নরনারী বিভিন্ন দাবী সম্বলিত ব্যানার নিয়ে অংশ গ্রহণ করেছেন। সভায় বক্তব্য রাখেন ক্যাম্প ২৬ নং এর নেতা বজলুল ইসলাম, মাস্টার মো. রশিদ, মো. জকরিয়া, মো. আয়াছ, আয়মিনারা বেগম, সাজেদা খাতুন প্রমুখ।
মজলুম, বিপদগ্রস্থা ও আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে এ সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ছয়টি বছর এদেশে লাখ লাখ মানুষ ঠেসাঠেসি ভাবে ত্রিপলের ছাউনির নীচে ঝুপড়ি ঘরে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। আমরা দ্রুত নিজ দেশে, নিজের ভিটে বাড়িতে অধিকার নিয়ে ফিরতে চাই। আমরা এই যাযাবর শরণার্থী জীবন চাই না। দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘকে উদ্যোগী হতে হবে।
বক্তারা ২৫ শে আগষ্টের বর্ননায় বলেন, মিয়ানমারের আরকানে সে দেশের সেনা ও রাখাইনরা মিলে ১০০ নারীকে ধর্ষণ, ৩০০ গ্রাম নিশ্চিহ্ন, ৩৪ হাজার শিশুকে এতিম, ৮ লাখের বেশী রোহিঙ্গাকে আরকান রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ও ১০ হাজারের বেশী রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে।
এসময় কথা হয় ২৬ ক্যাম্পে বসবাসকারী ফরিদ আহমেদের সাথে। তিনি নিজেদের চলাফেরার অধিকার, নিজ নিজ ভিটে মাটি ফেরত ফেলে দ্রুত ফিরে যাবেন বলে জানান।
নুর আহমদ নামে অপর এক বৃদ্ধ চীন ও বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাবাসনের যে উদ্যোগ সম্প্রতি গ্রহন করেছে তাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মিয়ানমারের ক্যাম্পে না নিয়ে নিজ নিজ ভিটে বাড়ি তে ফেরত দিলে এখনই চলে যাব।
এদিকে, টেকনাফ উপজেলার শালবাগান (নং-২৬) ও জাদিমুরা (নং-২৭) রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা গেছে, যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা প্রতিটি পয়েন্টে নিয়োজিত রয়েছে। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ সময় তারা আজ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে তাদের ব্যানারে তিনটি দাবি তুলেছেন, মায়ানমারে আমাদের বাড়ি ফিরে যেতে চাই, আমাদের মাতৃভূমি আরাকান, আমরা প্রত্যাবাসিত হতে চাই।
উল্লেখ্য, আরসা নামক একটি সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যদের সেনা ছাউনিতে হামলার ঘটনার অজুহাতে গত ২০১৭ সনের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমার বাহিনী। দেশটির সেনা, বিজিপি ও উগ্রবাদী রাখাইন যুবকরা গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা নর-নারী, শিশুর ওপর বর্বরোচিত নৃশংসতা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে বানের পানির মতো বাংলাদেশের দিকে ছুটতে থাকে রোহিঙ্গারা। বর্তমানে নতুন-পুরনো মিলে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া টেকনাফের  ৩০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। এসব শিবিরে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলেও এভাবে অনিশ্চিত ভাসমান অবস্থায় দীর্ঘদিন থাকতে চান না।###

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!