বিশেষ প্রতিনিধি।
বিয়ের প্রলোভনে প্রায় দু’বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে মহিলা মেম্বারের ভাই মাহমুদুর রহমান। পূর্বের ন্যায় প্রেমিকা মহিলার সাথে দেখা করতে গেলে জনতা তাকে আটক করে রাখে। এরই জেরধরে লোকজন নিয়ে প্রেমিকা মহিলার ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে মাহমুদুর রহমান ও তার বোন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মাহমুদুর রহমান টেকনাফের সাবরাং ইউপির শাহপরীর দ্বীপের মৃত সলিমের ছেলে ও সাবরাং ইউপির মহিলা (৭.৮.৯.) ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ফারিয়া ইয়াসমিনের ভাই ।
গতকাল শুক্রবার রাত এগারোটা দিকে মাহমুদুর রহমান’কে মেয়েটির বসতঘরের ব্যক্তিগত রুমে হাতেনাতে দেখার পর ভুক্তভোগী মহিলার পরিবার তাকে বাড়িতে বসিয়ে রেখে অভিযুক্ত ব্যক্তির বোন মহিলা মেম্বার ফারিহা ইয়াছিন’কে সমাধানের জন্য খবর দিলে ওই মহিলা মেম্বার তার বাহিনী নিয়ে ধারালো অ’স্ত্র’শ’স্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাড়ির দরজা ভেঙ্গে মেয়েটি’কে মারধর করে মহিলা মেম্বারের ভাই মাহমুদুর রহমান’কে নিয়ে যায় । ওই মহিলা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মাদক -মানব পাচার ইত্যাদি বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার জনশ্রুতি রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি ওই মহিলা মেম্বার ফারিহা ইয়াছিন সদস্য পদ বাতিল করে তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে যথাযত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, টেকনাফ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
বর্তমানে ভুক্তভোগী মহিলার অবস্থা খুবই আসংখ্যাজনক বলে জানা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কক্সবাজার রেপার করা হয়েছে।
একজন জনপ্রতিনিধি (মহিলা) যদি এমন আচরণ করে তার থেকে কি শিক্ষা পাবে এলাকার লোকজন! তাই মহিলা সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী পরিবারটি আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । ভূক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন
Leave a Reply