বিশেষ প্রতিনিধি
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত জাফর আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর। জীবন সংসার নিয়ে কোন মতে চলছেন। জীবিকার টানে পাড়িজমান বিদেশে। উদ্দেশ্যে ছিল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে সংসার সুখি রাখবেন। অবিবাহিত অবস্থায় বিদেশ থেকে অর্জন করা সব টাকা দেশে পাঠিয়েছেন নিজের আপন বড় ভাই আবু সুলাইমান ভুলুর নামে। পরবর্তীতে আলমগীর দেশে আসার পরে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে শুরু হয় দুই ভাইয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব। তাহার বড় ভাই আবু সুলেমান ভুলু ও ভাবি কুলসুমা খাতুনের যৌথ ষড়যন্ত্রে কোন রকমের শনিরদশা যেন কাটছে না আলমগীরের। ইতিমধ্যে আলমগীরকে অভিযুক্ত করে আদালত, থানা, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে এমন কোন দপ্তর বাকি নাই যেখানে আলমগীরের জন্য অভিযোগ করা হয়নি। উদ্দেশ্য তাকে হয়রানি করা। ভাই আবু সুলাইমান ভুলুর করা অভিযোগের দতন্ত একটি শেষ হতে না হতে আরেকটির এসে পৌঁছায় আলমগীরের বাড়িতে। ঐ তদন্তের জবাব দিতে দিতে নুন আনতে পান্তা পুরাই এরকম অবস্থা। আরো অবাক হওয়ার কথা আমাদের সাথে বিচারে যারা সাক্ষী দেন বা দিতে যায় তারাও পরবর্তীতে আবু সুলাইমান ভুলুর মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পায়না। ওই সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় প্রশাসন, জন প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা কামনা করেছেন মোঃ আলমগীর সহ অপরাপর ভাই- বোনেরা।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলমগীর জানান, আমার বড় ভাইয়ের ছেলে মোহাম্মদ হোসাই কলেজে যাওয়ার পথে তুলা তলি এলাকায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত হলে সে ঘটনায় একটি অপ মৃত্যু দায়ের করেন পুলিশ। কিন্তুু ওই ঘটনার বছর পার হওয়ার পর আমাকে হয়রানি করতে আমার ভাই আবু সুলাইমান ভুলু ঘটনাকে পুণরায় উজ্জীবিত করে আমরা তাহার ছেলেকে হত্যা করেছি বলে মামলা করেন। যা পরে দীর্ঘ ১২ মাস তদন্তের পরে মিথ্যা প্রমাণিত হলে ভুলু কে সরকারি সময় নষ্ট এবং মিথ্যা অভিযোগের কারণে জবাব দিহিতার জন্য নোটিশ প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
তিনি আরো জানান, শুধু তা নয় আমি একটি মামলায় হঠাৎ পুলিশের হাতে আটক হওয়ার সংবাদ পেয়ে তাহারা স্বামী – স্ত্রী এলাকার কতিপয় খারাপ প্রকৃতির লোকজন এনে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের একটি রুমে বন্দী করে বাড়ির নগদ টাকা,স্বর্ণ, জমিনের কাগজ সহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লোট করে নিয়ে যায়। যার কারণে পরে আমার স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদি হয়ে কক্সবাজার বিজ্ঞান আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নং ৬৭/২৪ইং। পরে আদালত তা তদন্তের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় পাঠায় বলে জানান আলমগীর।
এ ছাড়াও ভুলুর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে যে, তাহার পিতা মৃত জাফর আহম্মদের ৬ ছেলে ও ২ মেয়ের পৈত্রিক সম্পত্তির মধ্য হতে দুই কানি জমি কৌশলে বিক্রি করে দেন। পরে জানতে পারলে অপরাপর ভাই /বোনেরা ভুলুর বিরুদ্ধে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দেন। সে বিচারে উভয় পক্ষ হাজির হলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হলে পরিষদ ভুলু কে তিন মাসের মধ্যে ওই বিক্রিত জমি ভাই / বোন দের ফেরত দিতে নির্দেশ দেন। ( যাহার প্রয়োজনিয় প্রমানাদি আমার হাতে আছে ) । যা এখনো পর্যন্ত দেওয়া দেয়নি । এমতাবস্থায় আমার ভাই আবু সুলাইমান ভুলু জমি ফেরত দিতে হবে বলে জেনে বিভিন্ন কৌশলে আমাকে হয়রানি করতে এলাকার সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাকে সহ অপরাপর ভাইদের কে হত্যার হুমকি দিচ্ছ। সুতেরাং আমার জীবন রক্ষা করতে আমি দেশের সকল প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে সহযোগিতা কামনা করছি। কারণ আমি যেন নির্ভয়ে বসবাস করতে পারি।
এ বিষয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, পরিষদের বিচারের পর হতে তাকে বার বার ডাকলে সে কোন মতে আসেনা। বরং না আসার জন্য বিভিন্ন অজুহাত দেখাই ।
আপন ছোট ভাইয়ের করা উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে বড় ভাই আবু সুলাইমান ভুলুর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদক কে আপনার ভাবির সাথে কথা বলেন বলে তাহার স্ত্রী কে মুঠোফোন ধরিয়ে দিলে তাহার স্ত্রী কুলসুমা খাতুন জানান, আমরা স্বামী- স্ত্রী দু জনি অসুস্থ আমরা সুস্থ হয়ে আপনার সাথে কথা বলব বলে মুঠোফোন কেটে দেন।
অপর দিকে তাহার আরেক ছোট ভাই বাদশা জানান, আমাদের কে মামলা, হামলা, হত্যা এসব হুমকি না দিয়ে আপনি হ্নীলাতে আসেন। কাগজ পত্র নিয়ে পরিষদে বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে বসেন। যদি আপনি কাগজে জমি পান আপনি নিবেন। আর যদি আমরা পায় আমাদের দিবেন।
Leave a Reply