1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০২:১৯ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনলাইনে জুয়া ও মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছেন ওমর মাসিক আয় ৪৫ লাখ টাকা

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৯২ বার পড়া হয়েছে

নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।

টেকনাফের জাদিমুড়া ২৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনলাইনে জুয়া ও মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছেন মোঃ ওমর নামের এক রোহিঙ্গা শরনার্থী। সে ব্লক এ-১ এর আইয়ুবের ছেলে। যা থেকে মাসিক আয় করেন ৪৫ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পে বসবাস রত অপরাপর কয়েকজন রোহিঙ্গা।

তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে নিজে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হয়ে ক্যাম্পের ছোট ছোট তরুণ ও যুবক দের টার্গেট করে পুরো ক্যাম্প জুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন জুয়ার আসর । যার কারণে টাকার লোভে তরুণ ও যুবকেরা বেশি ভাগ জুয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে জুয়ার টাকা যোগাড় করতে বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতায় জড়িয়ে পড়েছে। আবার অনেকেই জুয়ার টাকা যোগাড় করতে না পেরে অপহরণের মতো ভয়ংকর কাজে জড়িত হয়ে মুক্তি পন নিয়ে জুয়ার টাকা যোগাড় করছে এমন অনেক তথ্যও আছে। এ অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে দেশের অনেক লাখ লাখ টাকা বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিমত স্থানীয়দের।

আরো জানাগেছে, রোহিঙ্গা শিশুরা অনেকেই জুয়ার টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিজের বাড়ি ঘরের পিতা মাতাকে নির্যাতন চালাচ্ছে । শীঘ্রই তা বন্ধ না হলে বা তাকে আইনের আওতায় আনা না হলে ক্যাম্পে অস্থিরতা বাড়ার পাশাপাশি অপরাধ প্রবণতার জন্ম দেবে বেশি।

অপর দিকে মায়ানমারে আভ্যন্তরীন যুদ্ধে ব্যাপক খাদ্যসংকট হওয়ায় এপার থেকে রোহিঙ্গা ওমরের নেতৃত্বে পাচার হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আর ওপার থেকে আসছে ইয়াবা। সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে, রোহিঙ্গা ওমরের মিয়ানমারে রেখে আসা আত্মীয়-স্বজন ও বর্তমানে অবস্থান রত ক্যাম্পের কিছু যুবক দিয়ে
স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাতের আধারে সীমান্ত প্রশাসনের চোখ ফাঁকিদিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী চাল,চিনি, সেমাই,ডিজেল,অকটেন,ভোজ্যতেল, সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী টেকনাফের জাদি মুড়া সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পাচার করে যাচ্ছে। আর ওপার থেকে নিয়ে আসছে মাদকদ্রব্যও ইয়াবা ট্যানলেট। যার কারণে বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি হয়ে দিন দিন বাজার মুল্য আগুনের মত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে নিম্নবিত্ত  ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো চরমভাবে বিপাকে পড়েছে।
শুধু তা নয় ওমর কে যেন কেউ চোরাকারবারি হিসেবে বুঝতে না পারে সে জন্য কাঁটাতারের বাইরে এসে একটি বড় মোদির দোকান দিয়েছেন। মিয়ানমারে পাচারের নিত্য পণ্যগুলো ওই দোকানের নাম দিয়ে ক্রয় করে গুদামজাত করে রাখেন। পরে সুযোগ বুঝে কৌশলে মিয়ানমারে পাচার করেদেন বলে জানান স্থানীয়রা। এসব অপকর্ম বন্ধে ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর শক্ত অভিযান কামনা করেছেন এলাকা বাসী।

এ বিষয়ে মোঃ ওমরের কাছে জানতে চাইলে স্বীকার করে তিনি জানান, আমি অনলাইন জুয়ার এজেন্ট নিয়েছি ঠিক। কিন্তুু মাষ্ঠার এজেন্ট নয় সাব এজেন্ট। যা রোহিঙ্গা যুবকদের কাছে বেশি বিক্রি করি । আর মাদক ও চোরাচালানের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাপ্তাহ এক ব্যবধানে কিছু নিত্যপণ্য মিয়ানমারে দিয়ে থাকি। পরে তিনি আরো বলেন , ভাই এ নিউজ টা করিয়েন না আমি আপনাকে কিছু টাকা দিব বলে প্রতিবেদক কে টাকার লোভও দেখান।

এ বিষয়ে ক্যাম্প ২৭ এর হেড মাঝি মোঃ নুর জানান, বিভিন্নজন থেকে আমিও শুনেছি সে মোবাইলে জুয়ার এজেন্ট নিয়েছে। তবে কাটাতারের বাইরে দোকান করায় আমি কিছু বলতে পারিনি।

ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা জানান, তদন্ত সাপেক্ষে তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!