শেখ মোঃ রাসেল (টেকনাফ ৭১)
করোনা আতংকে মানুষ যখন ঘরবন্দী সারা দোনিয়া যখন নিরবতায় দিন কাটাচ্ছে, তখনও মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসায়ী ফায়সাল করিম (৩০) থেমে নেই। সে হ্নীলা মরিচ্যা ঘোনার মৃত ফজল করিমের পুত্র। সুত্র জানায়, দুই তিন বছর আগেও সে ছিল দিন মুজুর। জীবন চলার পথে কোন এক সময় তাকে মরণ নেশা ইয়াবা গ্রাস করে। টেকনাফের বন্দুক যুদ্ধ, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান, রাষ্ট্রপ্রধানের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কোনটাই তার কাছে বোধগম্য নয়। নিয়মিত চালু রেখেছে রমরমা মাদক ব্যবসা। গ্রাম থেকে শহরে তাহার বিলাসবহুল বাড়ির দৃশ্য যে এক রূপকথার গল্প।স্থানীয় জনসাধারন জানায়, ফায়সালের একজন প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ি, তাহার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পত্রিকায় বা সংবাদ জগতে বড় বড় শিরোনাম হলেও তা কোন তোয়াক্কাই করে না। কারণ তিনি সব সময় টাকা পয়সা দিয়ে কিছু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করার ক্ষমতা রাখেন। হ্নীলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি নজরুল ইসলাম খোকন বলেন, ফায়সাল করিম মরিচ্যা ঘোনা বিলাসবহুল দালান করেছে এবং তাহার ভিতর দিয়ে একটি লম্বা সুরঙ্গ করেছে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসলে আত্মগোপনে চলে যেতে পারে যা আমি প্রত্যক্ষদর্শী। শুধু তাই নয় এলাকার মানুষকে হুঙ্কার দিয়ে বলেন, কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে চোখ তুলে তাকাস বা প্রসাশন কে খবর দিস তাহলে তোমাদের স্থান হবে ওই সুড়ঙ্গে। আমি পুলিশ ফোরামের সভাপতি হিসেবে এ বিষয়ে থানায় অবহিত করেছি যেকোনো মুহূর্তে এর ফলাফল গ্রামবাসীদের।মরিচ্যা ঘোনা হ্নীলা ১নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শফিক বলেন, আমাদের এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা বর্তমান সময়ে প্রতিষ্ঠা করেছে ফয়সাল, তাকে গ্রেপ্তার করা না গেলে আমাদের এলাকা ইয়াবার স্থলবন্দর এ পরিণত হবে। যা সমস্ত গ্রাম একযোগে মাদকাসক্তির রাজ্য কে হার মানাবে। উল্লেখ্য ফয়সালের কক্সবাজার, চট্টগ্রামে বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি বড় বড় প্রসাদ হয়েছে। ইতি মধ্যে খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার একটি পুলিশ দল ফয়সালের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে, সেখানে তারা ইয়াবা ব্যবসার কিছু চিহ্ন পেয়েছে পরবর্তীতে অতি শিগগিরই তাহার আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে স্থানীয়দের জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ফয়সালের কাছে জানতে চাইলে তাহার কোনো হদিস মিলেনি।
Leave a Reply