1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় এলে টেকনাফ কে মেগা সিটি ও পর্যটক বান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলা হবে – শাহজাহান চৌধুরী দলীয় নিয়ম ভেঙে বহিস্কৃত নেত্রী মরজিনা যুবদলের সমাবেশে! তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে জনমত তৈরি করতে ডোর টু ডোর যাচ্ছি, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কক্সবাজার-৪ মনোনয়ন প্রত্যাশি আব্দুল্লাহ টেকনাফে SSC Batch 2014 পুনর্মিলনী উপলক্ষে রেজিস্ট্রেশন চলছে! টেকনাফ প্রেসক্লাবের সংবর্ধনায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া: দলীয় লেজুড়বৃত্তিক সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়া স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি’র সভাপতি হলেন, মেরিন সিটি হাসপাতালের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুজ্জামান জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র টেকনাফ উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠিত প্রধান সমন্বয়কারী সায়েম যুগ্ম সমন্বয়কারী বাহা উদ্দীন ব্যক্তিগত স্বার্থে’ টেকনাফের পৌরভবন ও মডেল মসজিদ নির্মাণ: সাবেক এমপির ‘স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত’ : মুরশেদ আলম টেকনাফে ভ্যান চালকের জমি দখলে নিতে বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও টাকা-স্বর্ণালংকার লুট রোহিঙ্গা নারীর অপহরণ মামলা ঘিরে থানায় ঢুকে ওসির বিরুদ্ধে স্লোগান: দুই ঘণ্টা অবরোধ

সেন্টমার্টিন আক্রান্ত হলে আমরা ছেড়ে দেয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪
  • ২৩৮ বার পড়া হয়েছে

 অনলাইন ডেস্ক ৭১ ;

 

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন কোনো আক্রমণ হলে তা সহ্য করা হবে না, আমরা ছেড়ে দিবো না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

তিনি বলেন, আমরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না। আমরা আক্রমণ করব না। তবে আমাদের প্রস্তুতি আছে।

 

আজ শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত আছে। সেজন্য আমরা যদি সাফার করি সেটা দুঃখজনক। যতক্ষণ কথা বলা যাবে আলাপ-আলোচনা করা যাবে সেভাবেই সমস্যার সমাধান করতে চাই। যুদ্ধের উস্কানি দেব না। আক্রান্ত হলে সেটার জবাব অবশ্যই দেব। আমরা প্রস্তুত। আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেবে না।

 

আমরা চক্রান্তের শিকার হচ্ছি কি না- গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত এবং মানবিক আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সেদিন উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। যে কারণে তাকে মানবতার মা বলে অভিহিত করা হয়।

 

সে সময় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ছিলেন জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেখানে তার একটা ছোট অপারেশন হয়। সে সময় প্রতিদিনই তিনি সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ফোন করতেন। আমাদের পার্টি পর্যায়েও সাবধান করে দিতেন—কোনো অবস্থাতেই যেন আমরা কেউ কোনো উস্কানি না দেই। উস্কানি দিলে যুদ্ধ হতে পারে, অন্য পক্ষ তো বসে থাকবে না। আমাদের আকাশসীমাও তারা দুএকবার লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও আমরা কিন্তু তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধৈর্য ধরেছিলাম এবং তখন সে অবস্থাটা আর বেশি দূর এগোয়নি। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যাটা আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে দুনিয়ার বিভিন্ন সংস্থা, বড় বড় দেশগুলো আমাদের প্রশংসা করে কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে তাদের যে সাহায্যের পরিমাণটা ছিল, সেটা কিন্তু অনেক কমে গেছে। আমাদের এমনি অর্থনৈতিক চলমান সংকটে; আমরা নিজেরাই সংকটে আছি। আমাদের নিজেদেরই দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সেখানে ১২ লাখ রোহিঙ্গা, যাদের সন্তান-সন্ততি হয়ে সংখ্যা বাড়ছে। এই বোঝাটা আমাদের জন্য একটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে আছে। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে অভিবাসীরা যায়, তাদের আশ্রয় দেয়। এখানে দুনিয়ার বড় বড় দেশগুলো, যারা এ সংকট নিয়ে আজকে কথা বলে; আমাদের তো লিপ সার্ভিসের দরকার নেই। দরকার এ বোঝাটা আমাদের কাঁধ থেকে সরিয়ে নেওয়া। সার্বিকভাবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, তিনি সর্বাগ্রে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটা উত্থাপন করেন।

 

মিয়ানমার সেনাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া ষড়যন্ত্র কি না, প্রশ্ন গয়েশ্বরের জাতিসংঘের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকের বিশ্বে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠান নখ-দন্তহীন সংস্থায় পরিণত হচ্ছে। তাদের কথা ইসরায়েল শোনে না, বড় বড় দেশগুলো শোনে না। যখন যার যে ব্যাপারে বিরোধ আছে, সে তখন জাতিসংঘের সর্বসম্মত প্রস্তাবও নেয় না।

 

জাতিসংঘের অনুরোধের কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ কিছু সংঘাতের বিষয় আছে। ওখানে ৫৪টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। এদের একের সঙ্গে অন্যের মিল নাই। বিশেষ করে রাখাইন এলাকার বিদ্রোহীরা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করে যাচ্ছে। ওদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জন্য আমরা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হই, সেটা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

সেতুমন্ত্রী বলেন, জান্তা সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। আলাপ-আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে। আমরা কথা বলতে পারি। যতক্ষণ কথা বলা যাবে, আলাপ-আলোচনা করা যাবে, উই আর নট ইন গুড টিউনস-এমন পর্যায়ে না গেলে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি এবং করে যাব। আমাদের যুদ্ধ পরিহার করতে হবে। আমাদের কোনো উস্কানি যেন যুদ্ধের কারণ না হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে অং সান সুচির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৪১২ আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয় পায়। কিন্তু অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে ২৫ হাজার মানুষকে। জান্তার হামলায় মিয়ানমারজুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

 

এমন পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মিসহ দেশটির একাধিক বিদ্রোহী সংগঠন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে চলমান যুদ্ধের আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্তের গ্রামগুলোতেও। সংঘাতের জেরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মিয়ানমারের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ অংশে মর্টারশেল ও গুলির শব্দ শুনেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেন্টমার্টিন থেকে বঙ্গোপসাগরের অদূরে মিয়ানমার অংশে বড় জাহাজকে যুদ্ধজাহাজ ভেবে ভয়ও পাচ্ছেন তারা।###

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!