বিশেষ প্রতিনিধি
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে জাদিমুড়া এলাকায় স্থানীয়রা বসবাশ করে আসছে অনেক আগে থেকে। তাদের আই ইনকমের একমাত্র পাথেয় ছিল নদী পাহার বা ক্ষেত খামার। কিন্তুু সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা আগমনের ফলে স্থানীয়দের জন্য বিরাট পাহাড় হয়ে দাঁড়ায়। সূত্র বলছে, গত১৭ এপ্রিল সকাল ১০ ঘটিকার সময় জাদিমুরা এলাকার মোঃ সালাম পাহাড়ের পাদদেশে একটি ক্ষেত করে সংসার চালাতেন। কিন্তুু তিনি যখন বাড়ির কাজের জন্য আসেন তখন ওই মরিচ ক্ষেত দেখভাল করার জন্য নিজের ছেলে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র মোঃ হাসেম কে কিছুক্ষণের জন্য মরিচ ক্ষেতে রেখে আসেন। অসহায় ছালামের কষ্টে গড়ে তুলা ক্ষেত দফায় দফায় হাইর বশর (প্রকাশ মনু) র গরু ডুকে খেয়ে ফেলে। তা বার বার বারন করলেও তার কোন প্রতিকার পাইনি ক্ষতিগ্রস্ত ছালামের পরিবার।৪র্থ বারের মত গরু ক্ষেতে প্রবেশ করলে তা নিশেষ করেন মোঃ হাসেম, তা বারন করালে হাইর বশরের ছেলেরা এসে লেদা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ হাসেম কে নির্দয়ভাবে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে ছোট ভাই কে মারার খবর শুনলে তাকে উদ্ধার করতে দৌড়ে যায় মোঃ ইসলাম (২২)। ঘটনা স্থলে পৌছলে তাকে গুলি ধরেন গোলাম নবীর পুত্র আব্দুর রহমান (৩৫) প্রকাশ ব্যেজি, তাহার সহ যোগিত হিসেবে ছিলেন হাইর বশর, আব্দুল্লাহ, নুর হাশেম। মোঃ ছালামের পরিবার বলেন, আব্দুর রহমান জাদিমুড়া পাহাড়ে রোহিঙ্গা অস্ত্রধারীদের সাথে বসবাস করছে। দিনের বেলায় সে পাহাড়ে থাকে সন্ধ্যা হলে লোকালয়ে চলে আসে এবং প্রতিদিন তাহার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হচ্ছে। এমতাবস্থায় আশঙ্কা হয়ে পড়েছে স্কুলছাত্রের ও ভাই মোঃ ইসমাইলের জীবন বাঁচানো। যেকোনো সময় গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে হাশেম ও ইসমাইল কে । তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি তাকে আইনের আওতায় এনে স্থানীয়দের কে পাহাড়িদের হাত হতে রক্ষা করবেন বলে আশা প্রকাশ করছি।
Leave a Reply