নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের বড় লেচুয়াপ্রাং এলাকায় তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে সুপেয় কিংবা ব্যবহারিত পানি পাওয়া যেন পাওয়া সোনার হরিণ। কোন মতে একটি গভীর কূপের উপর নির্ভর শীল মসজিদ, মাদ্রাসাসহ গ্রামের ৫ হাজার মানুষ। যেটি থেকে ঘন্টা পর ঘন্টা অপেক্ষা করে প্লাস্টিকের বোতলে রশি বেঁধে ৩০০ ফুট গভীর থেকে কোন মতে তিল তিল করে পানি উঠিয়ে কলস ভর্তি করে বাড়িতে নিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছেন গ্রামের ৫ হাজারেরও বেশী মানুষ। ওই গ্রাম বাসীর বর্ষাকালে খাল বিল বা বৃষ্টির পানি ব্যবহারে জীবন সংসার বাচাঁর উৎস হলেও গ্রীষ্ম আসার সাথে সাথে ওই সব পানির উৎস সুখিয়ে বা বন্দ হয়ে যাওয়ায় তীব্র পনি কষ্টে দিন যায় বড় লেচুয়াপ্রাং বাসীর। বর্তমানে যে কূপটি রয়েছে সে কূপ থেকে পানি তুলে ভবিষ্যতে রমজানে সেহরি ও ইফতার সহ ব্যবহারিত পানির চাহিদা পুরন করা মোটেও সম্ভব না।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় একটি শিশু প্লাস্টিকের বোতলে করে ৩০০ ফুট গভীর থেকে রশি বেঁধে তিল তিল করে পানি তুলে আধা ঘন্টায় একটি কলস ভর্তি করছেন। যা দেখে প্রতিবেকদ পর্যন্ত আশ্চর্য্যনিত হন। তাই গ্রাম বাসীর জীবন রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে হলেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিশেষ ভাবে পানি সরবরাহ করার দাবি ভুক্তভোগী গ্রাম বাসীর।
শুক্রবার (২৮ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় বাসিন্দা নূরুল আলম জানান, আমাদের গ্রামের সিংহভাগ মানুষ গরীব , যারা বিভিন্ন কৃষি ক্ষেত ও হাল চাষ করে সংসার চালায়। টাকার অভাবে গভীর টিউবওয়েল বা নলকূপ স্থাপন করতে পারে না। তাই গ্রীষ্ম মৌসুম আসলেই গ্রামের একটি মাত্র কূপে নির্ভর করে ২০ বছর ধরে কষ্ট করে পানি উত্তোলন করে জীবন রক্ষা করি ও প্রয়োজনী কাজে ব্যবহার করি। তিনি আরো জানান, ৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের পাদদেশ হতে চসে আসা কিছুটা পানি একটি গর্ত করে জমায়েত করে গ্রাম বাসীর খাবার পানি হিসেবে ছেলে মেয়েরা নিয়ে আনত। কিন্তুু সেখানে বর্তমানে অপহরণ কারিদের আস্তানা হওয়ায় সে পদ টিও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আমাদের গ্রামে পানির এ অবস্থা।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আলী জানান, আমি সবে মাত্র দায়িত্বে এসেছি। গ্রাম বাসীর পানির সংকট খবর শুনে সরজমিনে গিয়েছি, ঘঠনা সত্য। স্থানীয় সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের জীবন রক্ষায় অন্তত গ্রীষ্ম কালে পানির সংকট নিরসনে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
টেকনাফ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপ- সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, আমি নতুন এসেছি ওই এলাকাটা আমি ছিনিনা। যদি সমস্যা হয় গ্রামবাসীকে আমাদের বরাবরের লিখিত আবেদন করতে বলেন, সামাধানের চেষ্টা করব। তবে ফান্ড না থাকায় প্রতিদিন গাড়ি নিয়ে পানি দেওয়া সম্ভব না। যেহেতু আপনাদের এখানে পানি ক্রয় করে নিতে হয়। তবুও আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করব।
Leave a Reply